ঢাকা, ২৬ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪ || ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৬২৯

জাতীয় পার্টির ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১২:০০ ১ জানুয়ারি ২০২০  

জাতীয় পার্টির ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ১ জানুয়ারি বুধবার।  পঁয়ত্রিশ বছরে পা রাখলো জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাপা। প্রায় ৩ যুগ ধরে দেশের রাজনীতিতে গণতন্ত্র রক্ষায় বড় অবদান রেখে চলেছে এই দলটি।  প্রতিষ্ঠাবার্ষকী উপলক্ষে আজ বুধবার রাজধানীতে সমাবেশ কর্মসূিচ হাতে নিয়েছে দলটি। 

১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের হাত ধরে আত্মপ্রকাশ করে দলটি। ১৯৮৫ সালের ১৬ আগস্ট তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের নীতি ও আদর্শ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার নিয়ে জাতীয় ফ্রন্ট গঠিত হয়েছিলো। সেই ফ্রন্ট বিলুপ্ত করে ১ জানুয়ারি জাতীয় পার্টি নামে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে।


জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছিলেন অধ্যাপক এম এ মতিন। ২১ প্রেসিডিয়ামসহ নির্বাহী কমিটির আকার ছিল ৬০১ জন। জোটের শরিক জনদল, ইউপিপি, গণতান্ত্রিক পার্টি, বিএনপি (শাহ),মুসলিম লীগ (সা) ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন সেদিন জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়েছিল। 

চার খণ্ডিত অংশের মধ্যে জাতীয় পার্টি (জাপা) এবং জাতীয় পার্টি (জেপি) আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীনজোটের সঙ্গে সম্পৃক্ত। অপর দুই অংশ বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) ও জাতীয় পার্টি (জাফর) বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে যুক্ত।

বিগত নির্বাচনে জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়। জোটথেকে ২৬টি আসন দেওয়া হয়।  সংসদে জাতীয় পার্টির সংরক্ষিত আসনের সংখ্যা ৪টি। মোট ২৬ আসন নিয়ে জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি।

এরশাদের মৃত্যুর পর পার্টির হাল ধরেছেন  গোলাম মোহাম্মদ কাদের। বিভাগীয় সাংগঠনিক সভা, সাংগঠনিক টিম গঠন ও জেলায় জেলায় সভা সমাবেশের মাধ্যমে ক্ষেত্র বিশেষে জাতীয় পার্টিকে এখন আরও বেশি উজ্জীবিত দেখাচ্ছে।

গত ২৮ ডিসেম্বর কাউন্সিল সম্পন্ন হয়। কাউন্সিলে প্রধান পৃষ্ঠপোষক, পার্টির চেয়ারম্যান এবং মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন। এরইমধ্যে কো-চেয়ারম্যানও অতিরিক্ত মহাসচিবদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। 

এরশাদের মৃত্যূর পর পার্টিতে ভাটার টান লক্ষ্যণীয় হলেও কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে অনেকটা চাঙ্গা হয়ে উঠেছে দলটি।  সিনিয়র নেতাদের এখন  বনানী অফিসে দেখা যাচ্ছে।  এরশাদ জীবিত থাকা অবস্থায় যারা পার্টির কর্মসূচি এড়িয়ে চলতেন তারা এখন বেশ সরব।