ঢাকা, ২৭ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪ || ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৮৪৬

‘ফণীর বিপদ কেটে গেছে, সেরকম ক্ষতি হয়নি’

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:০৪ ৪ মে ২০১৯  

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো.এনামুর রহমান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ফণী বিপদ কেটে গেছে। শনিবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আল্লাহ আমাদের রক্ষা করেছেন। ফণীর বিপদ কেটে গেছে। তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না।

ঘূর্ণিঝড়ে জন নিহত হয়েছে। প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করে . মো.এনামুর রহমান বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রে না যাওয়ার কারণেই তাদের প্রাণহানি ঘটেছে। ভবিষ্যতে যেন আর কেউ আশ্রয়কেন্দ্রের বাইরে না থাকে সেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। আশ্রয়, খাদ্য, চিকিৎসা, নগদ টাকা কোনো কিছুরই অভাব ছিল না। নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারের জন্য ইতিমধ্যে ২০ হাজার টাকা পাঠানো হয়েছে।

ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ তথ্য পেতে ২৪ ঘণ্টা সময় লাগবে জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার সামর্থবান ধনী সরকার। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না। বিদেশিদের কাছেও হাত পাততে হবে না।

আবহাওয়া অধিদপ্ততরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের বিপদ কেটে গেছে। এটি এখন স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। সেজন্য নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা লোকজন বিকেল ৪টা থেকে বাড়ি ফিরে যেতে পারবেন। তাদের নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

তিনি জানান, ১৯টি জেলার হাজার ৭১টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৬ লাখ ৪০ হাজার মানুষকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। ফসল গবাদি পশুর তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। বরগুনায় জন, ভোলায় জন নোয়াখালীতে জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে জন ঘর চাপা পড়ে এবং জন গাছ চাপা পড়ে মারা গেছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে না যাওয়ার কারণেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলমসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।