ঢাকা, ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১২ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৮১২

বৃহত্তর জনগোষ্ঠী অর্থনৈতিক চাপে পড়বে: বিএনপি

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:০৮ ১৪ জুন ২০১৯  

মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বৃহত্তর জনগোষ্ঠী অর্থনৈতিক চাপে পড়বে। রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বাজেট নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে  তিনি একথা বলেন। 
২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি বলেছে, এ বাজেটে বাংলাদেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী অর্থনৈতিক চাপে পড়বে। জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করবে না। এই বাজেট ধনী ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষার বাজেট। নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান সরকারের বাজেট দেওয়ার কোনো নৈতিক অধিকার নেই।

শুক্রবার বাজেট নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 
সংবাদ সম্মেলনে  খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় উপস্থিত ছিলেন।
 মির্জা ফখরুল বলেন, এ বাজেট জনগণ গ্রহণ করেনি। বাজেটে বৈষম্য বাড়বে। ধনীরা আরও ধনী হচ্ছে, দরিদ্ররা আরও দরিদ৶ হচ্ছে। মধ্যবিত্ত-নিম্ন মধ্যবিত্তের ওপর করের চাপ বাড়বে। বাংলাদেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী অর্থনৈতিক চাপে পড়বে। জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করবে না।

স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, আওয়ামী লীগ ও তাদের সুবিধাভোগীদের জন্য এ বাজেট। দুর্নীতির সব পথ এখন উন্মুক্ত। স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আব্দুল মঈন খান বলেন, বাজেটের মাধ্যমে জনগণ করের বোঝা পেয়েছে।


অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গতকাল বৃহস্পতিবার সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন। 
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, এটি উচ্চাভিলাষী বাজেট। বাজেটে ব্যয় বেড়েই চলেছে। ঘাটতি মোকাবিলায় ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাবে। ঋণের পরিমাণ সুদসহ জমতে জমতে পাহাড়সম হলেও পরিশোধের  দিকনির্দেশনা এ বাজেটে নেই। যার দায়ভার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ওপর পড়বে।

বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয়ের সমালোচনা করে বিএনপির বক্তব্যে  বলা হয়, জিডিপি ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ বলা হলেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে মারা যাচ্ছে। এ ছাড়া দক্ষ জনশক্তি তৈরি এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ বাড়ছে না। 

বক্তব্যে বলা হয়, সরকার পরোক্ষে কর বেশি আদায় করছে, যা সাধারণ মানুষের ওপর বেশি পড়বে।  উৎপাদনশীল খাত বাড়ছে না ও বহুমুখী হচ্ছে না। শিল্পকারখানার সংখ্যা বাড়েনি বরং কমেছে। দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যাংকগুলোকে সুবিধা দেওয়া এবং কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়।

এ সরকারের বাজেট দেওয়ার নৈতিক অধিকার নেই, উল্লেখ করে বিএনপি মহসচিব  বলেন, সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, জনগণের কাছে দায়বদ্ধও নয়। যাদের হাতে দেশের অর্থনীতি জিম্মি, তারাই সরকার পরিচালনা করছে। দেশের জনগণ এ বাজেট গ্রহণ করবে না।