ঢাকা, ২৭ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪ || ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৮০৮

মসজিদে বিস্ফোরণ: মুয়াজ্জিনসহ ১১ জনের মৃত্যু

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০৮:৩১ ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০  

নারায়ণগঞ্জে মসজিদে এসি বিস্ফোরণে দগ্ধ মুয়াজ্জিনসহ ১১ জনের মৃত্যু মৃত্যু হয়েছে । মসজিদের ইমামসহ ২৬ জনের অবস্থা আশংকাজনক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। নিহতরা হলেন, মুয়াজ্জিন দেলয়ার হোসেন, জামাল, জুবায়ের, খোকন, মোস্তফা কামাল, রিফাত, ইব্রাহিম ও কুদ্দুস বেপারী। এছাড়া চিকিৎসাধীন ২৬ জনের অবস্থাও আশংকাজনক। 
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, জুয়েলের শরীরের ৯৫ শতাংশ পোড়া ছিল।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের  হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক হোসাইন ইমাম জানান, হাসপাতালে ভর্তি ৩৮ জন রোগীরই শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে।  দগ্ধদের সবারই শ্বাসনালি পুড়ে গেছে।  এ অবস্থায় আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। 

রাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক হাসপাতালে এসেছিলেন। তিনি জানান, সরকারি ব্যবস্থাপনায় সবারই চিকিৎসা চলবে। প্রত্যেকের সরকারি খরচে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে মহাসপরিচালক জানান। 
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত  ৯টার দিকে ওই মসজিদে এসি বিস্ফোরেণর ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার পশ্চিম তল্লার বাইতুছ সালাম জামে মসজিদে এশার নামাজ শেষে মোনাজাত হচ্ছিল। এ সময় হঠাৎ বিকট শব্দে মসজিদের কাছের বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মারে বিস্ফোরণ ঘটে। সঙ্গে সঙ্গে মসজিদের ভেতরে এসির বিস্ফোরণ ঘটলে মুহূর্তে মসজিদের ভেতরে আগুন ধরে যায়।

আগুনের ফুলকি ছড়িয়ে পড়লে মুসল্লিরা দগ্ধ হতে থাকেন। দগ্ধ হন মসজিদের ইমাম মালেক আনসারী (৬৫) ও মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৫), ফটো সাংবাদিক নাদিম হোসেনসহ (৪২) ৩৮ জন। আহতদের প্রথমে নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তাদের ঢাকা মেডিক্যালের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়।