ঢাকা, ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১৪ চৈত্র ১৪৩০
good-food
১৪৯৪

স্ত্রী-ভাই নেই বোর্ডে

সব সম্পত্তি ট্রাস্টে দান করলেন এরশাদ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১১:০৬ ৮ এপ্রিল ২০১৯  

নিজের সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ট্রাষ্টে দান করলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ । এজন্য একটি ট্রাস্ট গঠন করেন তিনি।

৯০ বছর বয়সী অসুস্থ সাবেক এই সামরিক শাসক নিজেও ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য। তবে বোর্ডে নেই স্ত্রী রওশন এরশাদ ও ভাই জিএম কাদের।  যদিও তারা দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন।

 

বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন - এরশাদের ছেলে এরিক এরশাদ, একান্ত সচিব অবসরপ্রাপ্ত মেজর খালেদ আক্তার, চাচাতো ভাই মুকুল ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর।

 

রোববার বিকেলে পাঁচ সদস্যের এই ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে।  

এরশাদ এখন সংসদে বিরোধী দলের নেতা। ইউনিয়ন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য তিনি।

 

দলে পদায়ন, পদচ্যুতির নানা নাটকীয়তার মধ্যে এরশাদের বারিধারার বাসভবনে কয়েক দিন ধরেই আনাগোনা বেড়েছে তার সাবেক স্ত্রী বিদিশা’র। তিনি ভারত প্রবাসী হলেও তাদের ছেলে এরিক এরশাদ থাকেন বাবার সঙ্গেই। এরশাদও বিভিন্ন সফরে অন্য নেতাদের সঙ্গে এরিককে নিয়ে যান।

 

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় এরশাদ লিখেছিলেন, তার নগদ টাকার পরিমাণ ২৮ লাখের মতো। বার্ষিক আয় দেখান ১ কোটি ৭ লাখ টাকা। ব্যবসা থেকে তিনি আয় করেন দুই লাখ ৬ হাজার ৫০০ টাকা। ইউনিয়ন ব্যাংক থেকে সম্মানী হিসেবে ৭৪ লাখ ৭১ হাজার ১০ টাকা পান এরশাদ।

 

এছাড়াও ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তার ৩৭ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬ টাকা জমা রয়েছে। বিভিন্ন শেয়ারে এরশাদের অর্থের পরিমাণ ৪৪ কোটি ১০ হাজার টাকা। তার সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ ও এফডিআর ৯ কোটি ২০ লাখ টাকা; ডিপিএস রয়েছে ৯ লাখ টাকার।

 

এরশাদ লিখেছিলেন, গুলশান ও বারিধারায় তার দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার দাম এক কোটি ২৪ লাখ টাকার কিছু বেশি। এর বাইরে ৭৭ লাখ টাকা দামের একটি দোকান রয়েছে তার।

 

যানবাহনের মধ্যে তার রয়েছে ৫৫ লাখ টাকা দামের ল্যান্ড ক্রুজার জিপ, ১৮ লাখ টাকা দামের নিশান কার এবং ৭৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা দামের আরেকটি ল্যান্ড ক্রুজার জিপ।

 

বেশ কিছু দিন ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ এরশাদ। গেল ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ সংসদ নির্বাচনে একদিনও প্রচারে যাননি। নির্বাচনের আগে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন সিঙ্গাপুর। সেখান থেকে ফেরার পর নির্বাচনের দিন ভোট দিতেও নির্বাচনী এলাকা রংপুরে যাননি এরশাদ।

 

গত ৬ জানুয়ারি সংসদে শপথ নেন এরশাদ। তবে গিয়েছিলেন হুইল চেয়ারে চড়ে।

 

এরপর চিকিৎসার জন্য ২০ জানুয়ারি আবার সিঙ্গাপুর যান এরশাদ। তখন জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, রক্তে হিমোগ্লোবিন ও লিভারের সমস্যায় ভুগছেন তিনি।

 

ট্রাষ্ট করে সম্পত্তি দান করার ঠিক আগের দিন শনিবার এক ‘সাংগঠনিক নির্দেশে’এরশাদ ঘোষণা দেন, তাঁর অনুপস্থিতিতে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন ছোট ভাই দলের কো–চেয়ারম্যান জি এম কাদের। এর আগের দিন শুক্রবার কো–চেয়ারম্যানের পদ ফিরে পান কাদের। অথচ দু-সপ্তাহ আগে গত ২২ মার্চ কাদেরকে কো-চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন জাপা প্রধান।

এমন অস্থিরতার মাঝেই সম্পত্তি ট্রাস্ট করে দেয়ার ঘটনা নতুন করে আলোচনার ঝড় তোলে সব মহলেই।