সুচির উত্থান-পতন
লাইফ টিভি 24
প্রকাশিত: ২১:৫১ ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১
পরিকল্পিত এক অভ্যুত্থানে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করেছে সামরিক বাহিনী। এনএলডি সরকার দলীয় একাধিক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে তারা। এর মধ্যে অন্যতম অং সান সুচি। স্বভাবতই বিশ্বজুড়ে আলোচনায় তিনি। রাজনৈতিক জীবনে বহু ঘাত-প্রতিঘাত, চড়াই-উতরাই, কাঠখড় পুড়িয়ে উত্থান-পতনের মধ্য এ পরিস্থিতির শিকার সুচি। এ ‘রাজবন্দির’ জবানবন্দি তুলে ধরা হলো-
মিয়ানমারের স্বাধীনতার নায়ক জেনারেল অং সান। তার নেতৃত্বে ব্রিটিশ ওপনিবেশিক থেকে পরাধীনতার শৃঙ্খল মুক্তি হয় দেশটি। এ নেতারই মেয়ে সুচি। ১৯৪৫ সালের ১৯ জুন জন্মগ্রহণ তিনি। তার দুই বছর বয়সে আততায়ীর হাতে বাবা খুন হন।
১৯৬৪ সালে পড়াশোনা করতে ভারতে চলে যান সুচি। তা শেষে ১৯৬৮ সালে ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকের জন্য পাড়ি জমান। এরপর জাতিসংঘে তিন বছর কাজ করেন। ১৯৭২ সালে যুক্তরাজ্যের নাগরিক মাইকেল অ্যারিসকে বিয়ে করেন তিনি। তাদের সংসারে হয় দুই ছেলে।
’৮০ এর দশকে মায়ের দেখাশোনার জন্য মিয়ানমারে ফেরত আসেন সূচি। ততদিনে দেশটিতে সামরিক শাসনের রমরমা অবস্থা। ১৯৮৮ সালে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে গণআন্দোলন গড়ে তোলেন তিনি। যা জান্তাদের ক্ষমতার ভিত কাঁপিয়ে দেয়। এর মাধ্যমেই লাইমলাইটে আসেন।
তবে ১৯৮৯ সালে সুচির আন্দোলন গুঁড়িয়ে দেয় সেনাবাহিনী। দেশজুড়ে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালায় তারা। তাতে কয়েক হাজার বেসামরিক মানুষ নিহত হন। সেই সঙ্গে গৃহবন্দি হন তিনি। কিন্তু তার বিদ্রোহ থামেনি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জোর প্রচেষ্টা চালান। তাতে সাধারণ জনগণের আকুণ্ঠ সমর্থন পান। ফলে ১৯৯১ সালে ইয়াঙ্গুনে নিজ বাড়িতে বন্দি থাকা অবস্থাতেই শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয় করেন এ নেত্রী।
পরিপ্রেক্ষিতে সুচিকে চার দেয়ালের মধ্যে আটকে রাখতে পারেনি সেনারা। ১৯৯৫ সালে বন্দিজীবন থেকে মুক্তি পান তিনি। এরপর সভা-সমাবেশে জোর দেন। ঘটনাক্রমে ১৯৯৯ সালে তার জীবনে আরেক দুঃসংবাদ ধেয়ে আসে। স্বামী অ্যারিস ক্যানসারে মারা যান।
তবে জান্তা সরকার দেশে ফেরা আটকে দিতে পারে-ভেবে তাকে দেখতে দেশ ছেড়ে যাননি সুচি। বরং তাদের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলনের দূর্গ গড়ে তোলেন। পরিপ্রেক্ষিতে ২০০০ সালে ফের গ্রেপ্তার হন তিনি। কিন্তু দেড় বছর পরই ছাড়া পান। তবে দমন-পীড়ন চলেছেই। ২০০৩ সালে তিনি ও তার সমর্থকদের ওপর হামলা করে সামরিক সরকার সমর্থকরা। এ ঘটনায় কয়েকজন নিহত হন।
২০০৭ সালে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিতে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের নেতৃত্বে জান্তা সরকার বিরোধী প্রতিবাদে সমর্থন দেন সুচি। বিক্ষোভ দানা বাঁধলে ত্বরিত পদক্ষেপে তা পণ্ড করে সেনাবাহিনী। আবার গ্রেপ্তার হন তিনি। ২০১০ সালে মুক্তি পান। ঠিক সেই বছর সাধারণ নির্বাচনে সামরিক বাহিনীর তৈরি রাজনৈতিক দল বিপুল ভোটে বিজয় পায়। সেই নির্বাচন বর্জন করে এনএলডি। এরপর এগোতে থাকে তারা।
২০১২ সালে সুচি ও তার সমর্থকদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় থেইন সেইন সরকার। ফলে মুক্তভাবে চলাচল করতে পারেন তিনি। মুক্ত হন শত শত রাজনৈতিক বন্দি। ওই বছরই মিয়ানমারের ওপর থেকে নানা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে পশ্চিমা বিশ্ব।
এরপর সাফল্য পেতে শুরু করে সুচির দল। একই বছর উপনির্বাচনে জয় পায় এনএলডি। সংসদীয় আসনের ৪৪টির ৪৩টিই লাভ করে তারা। পরে বহির্বিশ্বের সমর্থন আদায়ে জোর দেন তিনি। মাঝে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষও হয়।
তাতে পরোক্ষভাবে ফায়দা লুটেন সুচি। যার জেরে ২০১৫ সালে সাধারণ নির্বাচনে ভূমিধস জয় পায় এনএলডি। ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন তিনি। এরপর থেকেই রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর অকথ্য নির্যাতন শুরু করে সেনাবাহিনী। ফলশ্রুতিতে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে ১১ লাখ রোহিঙ্গা।
শুরু থেকে সেই নির্যাতনে সমর্থন দেন সুচি। ফলে আন্তর্জাতিক মহলের সমালোচনায় পড়েন তিনি। তবে গুঞ্জন ছড়িয়েছে, সম্প্রতি ওই অবস্থান থেকে সরে এসেছেন।
২০০৮ সালে মিয়ানমারের সংবিধানে সেনাবাহিনীকে ব্যাপক রাজনৈতিক ক্ষমতা দেওয়া হয়। তবে ২০১৯ সালে তা সংশোধনের চেষ্টা করেন সুচি। ফলে সেনা প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরকার দলীয় আইনপ্রণেতাদের দ্বন্দ্ব শুরু হয়।
২০২০ সালের নির্বাচনে ব্যাপক ব্যবধানে জয়লাভ করে এনএলডি। এতে অনিয়মের অভিযোগ তোলে সেনাবাহিনী। স্বভাবতই নতুন সরকার ও সামরিক বাহিনীর মধ্যে মতবিরোধ বেগবান হয়। সেই সূত্রে ২০২১ সালে ক্যু ঘটলো।
- ৬৮ বছরের রেকর্ড ভাঙলো কলকাতার তাপমাত্রা
- আইপিএলে নাচতে নাচতে অতিষ্ঠ চিয়ারলিডাররা
- ১৪ মাস পর জ্ঞান ফিরলো কুমার বিশ্বজিতের ছেলের
- গরমে শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করে যেসব ফল
- মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ঠিক রেখে সর্বোচ্চ আনুগত্য নিয়ে কাজ করতে হবে
- যে কারণে দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে তীব্র দাবদাহ
- নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ রাখতে কিছু নির্দেশনা
- গাজীপুরে তীব্র গরমে বেঁকে গেছে রেললাইন
- উপজেলা নির্বাচন: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ মে’র পরীক্ষা স্থগিত
- জেগে উঠল ৩০০ বছরের পুরোনো শহর
- এলপিএলে নাম লেখালেন বাংলাদেশের ৪ ক্রিকেটার
- মুম্বাই পুলিশের তলব, সময় চাইলেন তামান্না
- দেশজুড়ে টানা বৃষ্টির আভাস
- ৭ দিনে হিটস্ট্রোকে ১০ জনের মৃত্যু
- শুধু গরমে নয়, আয়রনের অভাবে হয় শরীর দুর্বল ও হার্ট ফেইলিওর
- এসএসসি’র ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ জানা গেলো
- স্কুল-মাদ্রাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ হাইকোর্টের
- রাজধানীতে রাত ১১টার পর চায়ের দোকান বন্ধ
- গরমে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি পান ভালো নাকি ক্ষতিকর
- তীব্র তাপদাহে ট্রাফিক পুলিশকে স্বস্তিতে রাখতে ‘এসি হেলমেট’
- রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভূমিকম্প
- ঢাকা-রাজশাহীসহ ৫ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
- প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ
- বুবলীর চিকিৎসা দরকার : অপু বিশ্বাস
- তীব্র গরমে এসি ছাড়াই ঘর ঠান্ডা রাখতে পারেন যেসব উপায়ে
- বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি ভারতের
- সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর : শেখ হাসিনা
- হজের ফ্লাইট শুরু ৯ মে
- বাংলাদেশ-মরিশাসের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে নতুন নির্দেশনা
- এমপি-মন্ত্রীর স্বজনরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে ব্যবস্থা
- হিটস্ট্রোকের লক্ষণ ও করণীয়
- বিশ্ব ইতিহাসে প্রথম: শহরে ঢুকতে দিতে হবে প্রবেশ ফি
- এসি নেই? ঘর ঠান্ডা রাখতে যা করবেন
- হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে যে নির্দেশনা দিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
- স্কুল-মাদ্রাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ হাইকোর্টের
- জয়ের পক্ষ নিয়ে সাংবাদিকদের দোষারোপ করলেন অঞ্জনা
- কখন বৃষ্টি হবে, জানালো আবহাওয়া অফিস
- বুবলীর চিকিৎসা দরকার : অপু বিশ্বাস
- দুই দিনে সোনার দাম কমলো ৫ হাজার ২৭৭ টাকা
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে নতুন নির্দেশনা
- ২৮ এপ্রিল খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবারে ক্লাসের পরিকল্পনা
- ইন্টারনেট ছাড়াই হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো যাবে ছবি-ভিডিও-ডকুমেন্ট
- মৃত্যুর দু’বছর পর ব্রুনাই থেকে ফিরছে দুই বাংলাদেশির লাশ
- ৬০ বছর বয়সে সেরা সুন্দরীর খেতাব জিতলেন আর্জেন্টাইন নারী
- ইসরায়েলকে কড়া হুঁশিয়ারি ইরানের
- আপিল বিভাগে তিন বিচারপতি নিয়োগ
- তীব্র গরমে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে ফিলিপাইনে
- নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ রাখতে কিছু নির্দেশনা
- টাঙ্গাইল শাড়িসহ ১৪ পণ্য পেল জিআই সনদ