ঢাকা, ১২ অক্টোবর রোববার, ২০২৫ || ২৬ আশ্বিন ১৪৩২
good-food

আবু ত্বহার ‘শোধরানোর’ আশা না থাকায় ফেসবুকে আক্ষেপ স্ত্রীর

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০১:৫৬ ১২ অক্টোবর ২০২৫  

ইসলামী বক্তা আবু ত্বহা মোহাম্মদ আদনানের স্ত্রী সাবিকুন নাহার সারাহ স্বামীর বিরুদ্ধে ‘গোপন প্রেমের’ অভিযোগ তুলেছেন আবারও। এর আগে এক এয়ার হোস্টেসের সঙ্গে প্রেমের অভিযোগ তুলে ফেসবুকে পোস্ট দিলেও পরে তা মুছে ফেলেছিলেন তিনি। কিন্তু স্বামীর আচরণে কোনো পরিবর্তন না আসায় শনিবার পুরোনো সেই স্ট্যাটাসটিই নতুন করে পোস্ট করে নিজের আক্ষেপের কথা জানান সারাহ।

 

ডিলিট করে দেওয়া পোস্টটি পুনরায় শেয়ার করে তিনি লেখেন, “এয়ার হোস্টেসদের মেবি সেলিব্রিটি পছন্দ, আর সেলিব্রিটিরাও মেবি এয়ার হোস্টেস ডিজার্ভ করে। আপনাদের উস্তাদ আবু ত্বহা মোহাম্মদ আদনান প্রেমে মজেছেন জারিন জেবিন নামক তার ১৫ বছর পূর্বের কলেজ জীবনের প্রিয়তমা, বর্তমান এয়ার হোস্টেসের।”

 

তিনি আরও লেখেন, “তখন উস্তাদ ডেসপারেটলি তাকে চেয়েছিলেন। তখন তার টাকা নেই বলে পরিবার দেয়নি। এখন আবার জারিন জেবিন নামক ভদ্রমহিলা ডেসপারেটলি আপনাদের উস্তাদকে চাচ্ছেন।”

 

স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে সারাহ লেখেন, “পুরাতন প্রেম নতুন রূপে, একটু বেশিই ফিলিংসে ডুবেছেন। তারা নিয়মিত চ্যাট বক্সে ফিলিংস আদান প্রদান সহ ঘণ্টার পর ঘণ্টা তার যিন্নুরাইন সেন্টারে বসে ফোনে কথা বলছেন। আবার সে তার সাথে লং ড্রাইভে যাওয়ার ইচ্ছে পোষণ করেন এবং সেন্টারে এসে অফিস রুমে সাক্ষাৎ করেন।” 

 

নিজের টাকায় গড়া প্রতিষ্ঠান নিয়েও অভিযোগ তোলেন সারাহ। তিনি বলেন, “আপনাদের দেওয়া টাকায় গড়া তার প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন আয়োজন ও ক্লাসের নামে যেকোনো নারীর সঙ্গে একান্তে দেখা করার কারখানা। নারী পুরুষ একসঙ্গে ক্লাস নেওয়া, যে কো এডুকেশন শিক্ষার বিরোধিতা তার জবানে, অথচ তারই প্রতিষ্ঠানগুলোতে নারী পুরুষ অবাধ মেলামেশার বিশাল আয়োজন।”

 

একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগ এনে তিনি বলেন, “এয়ার হোস্টেস জারিন জেবিনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পূর্বে রংপুরের আরেক মেয়ের সঙ্গেও তিনি সম্পর্কে জড়ান। মেয়েটি তাদের কোনো এক ওমরাহ প্রতিযোগিতার শিক্ষার্থী ছিল এবং আলেমাও। আপনাদের উস্তাদ সে মেয়েকে ইফতা পড়াবে, তাকে নিয়ে দ্বীনের কাজ করবে, বিয়ে করবে ইত্যাদি কথা দিয়ে তার বাবা ভাইয়ের সাথেও কথা বলেছে।”

 

তিনি আরও যোগ করেন, “পরবর্তীতে যখন এই এয়ার হোস্টেসকে পেল, তখন আবার সেই আলেমা মেয়েকে নানা অজুহাত দেখিয়ে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেছে, আপনি বিয়ে করে নিন ভালো পাত্র পেলে।”

 

এসব কারণে নিজের অনলাইন তালিম স্থগিত করার কথাও জানান সারাহ। তিনি বলেন, “আমাকে প্রচণ্ড চাপ দেওয়া হয়েছে এ বিষয়গুলোর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের জন্য। অনুকূলে না পেয়ে দুই বছর যাবৎ নানা রকম সিন ক্রিয়েট করে তোহমত চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমতাবস্থায় মানসিক ও শারীরিকভাবে ফিট ফিল করছি না বিধায় এবারের অনলাইন তালিম স্থগিত করা হলো।”

 

পোস্টে অক্টোবরের প্রথম শনিবার অনলাইন তালিম করার কথা থাকলেও স্বামীর আচরণে পরিবর্তন না আসায় তিনি ফের ফেসবুকে সরব হয়েছেন বলে জানান।পোস্টটি পুনরায় শেয়ার করার কারণও তিনি মন্তব্য ঘরে ব্যাখ্যা করেছেন। সারাহ বলেন, “উল্লেখিত পোস্ট ডিলিট করে নিজের কাঁধে সব দোষ নিয়ে অপমানিত হওয়ার পথ বেছে নিয়েছিলাম সংশোধনের আশায়। কিন্তু ভক্তদের অতিমাত্রায় তাকে নির্দোষ প্রমাণ করার আস্ফালন তাকে পরিশুদ্ধ হতে দিচ্ছে না।”

 

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, “হতে পারে আমার সত্য প্রকাশের ফলে আপনারা সচেতন হবেন এবং তিনি চূড়ান্ত রূপে সংশোধন হয়ে প্রকৃত অর্থেই কখনো দ্বীনের বড় উপকারে আসবেন।” আক্রমণের শিকার হতে পারেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “আমি নানাভাবে আক্রমণের শিকার অলরেডি এবং আরও হব জানি। আমি আমার পরওয়া করি না। আমি স্বার্থান্বেষী, নেইম ফেইম বিলাসীও নই।”