ঢাকা, ১১ অক্টোবর শনিবার, ২০২৫ || ২৬ আশ্বিন ১৪৩২
good-food
৩১৯

করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে ট্রাম্প-জনসন?

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:৫৯ ১১ মার্চ ২০২০  

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়ানোর পর কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি নিয়ে বেশ কিছু খবর সংবাদমাধ্যমে এসেছে। এর মধ্যে আছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের মতো নেতাদের নামও।
ব্রিটেনে একজন জুনিয়র স্বাস্থ্য মন্ত্রী করোনাভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার পর দেশটির ক্ষমতার উচ্চ মহলে কতদূর পর্যন্ত তা পৌঁছে গেছে - সেটা বের করতে উঠে পড়ে লেগেছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
আক্রান্ত জুনিয়র স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নাম নাদিন ডরিস। গত বৃহস্পতিবার তার করোনাভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ ধরা পড়ে। স্বাস্থ্য কর্মীদের যা ভাবিয়ে তুলেছে-তা হলো সেদিনই তিনি ডাউনিং স্ট্রিটে বরিস জনসনের দেয়া সংবর্ধনায় যোগ দিয়েছিলেন।
এখন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জরুরিভাবে এটা বের করার চেষ্টা করছেন যে ডরিসের সঙ্গে সম্প্রতি কার কার যোগাযোগ হয়েছিল। তিনি নিজে অবশ্য জানিয়েছেন, এখন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বাড়িতেই অবস্থান করছেন।
আমেরিকায় ট্রাম্পের অনুষ্ঠানে করোনাভাইরাস সংক্রমিত ব্যক্তি
মঙ্গলবার বিবিসির খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে এক অনুষ্ঠানে করোনাভাইরাস সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার পর পাঁচজন রিপাব্লিকান কংগ্রেস সদস্য নিজেদের কোয়ারেন্টিন করেছেন। বলা হয়, ফেব্রুয়ারির ওই অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও উপস্থিত ছিলেন। তিনি নিজেই জোর দিয়ে বলেন, এর পর করোনাভাইরাস সংক্রমণের কোনও পরীক্ষা করাননি। তার স্বাস্থ্য ভালো আছে।
হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্রও বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের করোনাভাইরাস সংক্রমণে হয়েছে কি-না, এমন কোনও পরীক্ষা করা হয়নি। জানা গেছে, মেরিল্যান্ডের ওই রাজনৈতিক সম্মেলন অনুষ্ঠানে একজন করোনাভাইরাস সংক্রমিত ব্যক্তি ছিলেন। তার সঙ্গে পাঁচজন রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান এবং ট্রাম্পের নতুন চিফ অব স্টাফের সাক্ষাৎ হয়। এরা সবাই এখন নিজে থেকেই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে আছেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন। তিনি অবশ্য সেই সংক্রমিত লোকটির সঙ্গে কথাবার্তা বলেননি। কিন্তু ওই সম্মেলনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে সেই ব্যক্তির যোগাযোগ হয়েছিল। পরে চেয়ারম্যানের সঙ্গে করমর্দন করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

হোয়াইট হাউস মুখপাত্র বলেন, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কোভিড-১৯ আক্রান্ত কোনও রোগীর দীর্ঘস্থায়ী যোগাযোগ হয়নি। তার দেহে সংক্রমণের কোনও লক্ষণও নেই। তার স্বাস্থ্য খুব ভালো আছে এবং ডাক্তার তার ওপর নজর রাখছেন।
ইরানে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর ডেপুটি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রীসহ সরকারের বেশ কয়েকজনের দেহে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। নিউইয়র্ক টাইমসের খবর অনুযায়ী, ইরানের একজন ভাইস প্রেসিডেন্টও করোনাভাইরাসে সংক্রমতি হয়েছেন। ইরানের একজন সাবেক ডেপুটি মন্ত্রী করোনাভাইরাস সংক্রমণে মারা গেছেন বলেও সংবাদমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে।

বিশ্ব বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর