ঢাকা, ২৪ এপ্রিল বুধবার, ২০২৪ || ১১ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৩১৫০

ঈদে মিলাদুন্নবীর তাৎপর্য

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:৫০ ২৯ অক্টোবর ২০২০  

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী, ঈদে মিলাদ নামেও পরিচিত। ইসলামিক বর্ষপঞ্জি অনুসারে, হিজরি বর্ষের তৃতীয় মাস রবিউল আউয়াল-এর ১২ তারিখে এই উৎসব হয়। ওই দিন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব এবং সর্বশেষ নবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ ও মৃত্যুবরণ করেন। 

 

২০২০ সালে ঈদে মিলাদুন্নবী 
চলতি বছর ২৯ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন মুসলিম প্রধান দেশে এই উৎসব উদযাপিত হয়েছে। আর ৩০ অক্টোবর (শুক্রবার) বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশে এটি পালিত হবে।

 

হযরত মোহাম্মদ কে?
তিনি ইসলাম ধর্মের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব এবং আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত সর্বশেষ নবী। তাকে ইসলামের সর্বশ্রেষ্ঠ নবী গণ্য করা হয়। হযরত মোহাম্মদ (সা.) সৌদি আরবের মক্কা নগরীর কুরাইশ গোত্রের বনি হাশিম বংশে জন্মগ্রহণ করেন। প্রচলিত ধারণা মতে, ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের ২৯ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন তিনি। 

 

দিনটি ছিল আরবি রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ। তিনি পবিত্র গ্রন্থ কোরআন-এর প্রচার করেন। নবী (সা.) ইসলাম ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রবর্তক।

 

ঈদে মিলাদুন্নবীর তাৎপর্য
ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে ১২ রবিউল আউয়াল শুভ দিন। ওই দিন হযরত মোহাম্মদ (সা.) -এর  জন্মদিন উদযাপন করেন তারা। আবার দিনটি শোকেরও। কারণ, ওই তারিখেই ওফাত লাভ করেন অর্থাৎ ৬৩ বছর বয়সে মারা যান তিনি।

 

আরও কয়েকটি কারণে ১২ রবিউল আউয়াল তাৎপর্যময়। ওই দিনে পবিত্র কোরআন শরিফ নাযিল হয় হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর ওপর। বিশেষ দিনটিতেই হিজরত ও মিরাজ করেন তিনি।

 

ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন
এদিন সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা হয়। অনেক জায়গায় শোভাযাত্রার আয়োজনও করা হয়। শিয়া ও সুন্নি মুসলমানরা নিজেদের নিয়ম মতো দিনটি হযরত মোহাম্মদের স্মরণে কাটান।

 

এই দিনে মুসলিমরা নিজেদের ঘর সাজাযন। সব মসজিদ সুন্দরভাবে সাজানো হয়। দরিদ্র ও অভাবীদের অনুদান দেন তারা। অতিরিক্ত নামাজ আদায় এবং কোরআন পড়া হয়।

 

বাংলাদেশে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন
রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা এবং ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন শুরু করেন। মসজিদে মসজিদে, নিজ নিজ বাসায় কোরআন খতম ও জিকির আজগারের মাধ্যমে মহান রাব্বুল আলামিন এবং তার প্রিয় হাবিব মহানবী (সা.)-এর বিশেষ রহমত কামনা করেন তারা।

 

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। এদিন তারা দেশবাসীসহ বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ’র প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং মোবারকবাদ জানিয়েছেন।

 

ঈদে মিলাদুন্নবীতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশের ব্যবস্থা নিয়েছে। এছাড়া দেশের সব বিভাগ, জেলা, উপজেলাসহ সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোর উদ্যোগে সর্বশ্রেষ্ঠ নবীর জীবনীর ওপর পক্ষকালব্যাপী আলোচনা সভা ও মাহফিলসহ বিশেষ কর্মসূচি পালন শুরু হয়েছে।

 

এ উপলক্ষে শুক্রবার সরকারি ছুটি। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার দিবসটির গুরুত্ব তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে। তাছাড়া সরকারি-বেসরকারি ভবন এদিন সন্ধ্যা থেকেই আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়।

 

এদিকে, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) উদ্যোগে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে শুরু হয়েছে পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠানমালা।