ঢাকা, ২৬ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪ || ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
২৭১

গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করলেন সু চি

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:৫১ ১১ ডিসেম্বর ২০১৯  

মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে তার দেশের বিরুদ্ধে আনা গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এই আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, ধর্ষণ ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।
বৌদ্ধ-সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারে ২০১৭ সালের আগস্টে চালানো এক সেনা অভিযানে হাজার হাজার রোহিঙ্গা নিহত হন। ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।
অং সান সু চি বলেন, মামলায় যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা ‘অসম্পূর্ণ ও বেঠিক’। তার কথায়, ওই সেনা অভিযানের পেছনে গণহত্যা চালানোর অভিপ্রায়ের কোনও প্রমাণ নেই।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের পরিস্থিতি উপলব্ধি করা সহজ নয়। স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো পুলিশ ফাঁড়ির ওপর আক্রমণ চালালে ২০১৭ সালের আগস্টের ঘটনাবলী শুরু হয়।
তবে নেত্রী স্বীকার করেন, মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বাহিনী হয়তো মাত্রাতিরিক্ত রকমের শক্তি প্রয়োগ করে থাকতে পারে। তিনি বলেন, যদি মিয়ানমারের সৈন্যরা যুদ্ধাপরাধ করে থাকে তা হলে তাদের বিচার করা হবে।
অং সান সু চি বলেন, মিয়ানমার রাখাইন প্রদেশের বাস্তুচ্যুত মানুষদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধ। রোহিঙ্গাদের প্রধান বাসভূমি রাখাইন প্রদেশে গোলযোগের ইতিহাস কয়েক শতাব্দীর। এ সংঘাতকে আরো গভীর করতে পারে এমন কিছু না করতে আইসিজে'র প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ওআইসির সদস্য রাষ্ট্র গাম্বিয়ার করা এই মামলায় অভিযোগ করা হয়, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী সেদেশের রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যা, ধর্ষণ ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে।
সেখানে গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ সংগ্রামের কারণে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান অং সান সুচি। একসময় ছিলেন আন্তর্জাতিকভাবে নন্দিত ব্যক্তিত্ব।  কিন্তু রোহিঙ্গা ইস্যুতে তার ভূমিকার কারণে সেই তিনিই বিশ্বের বহু দেশের নিন্দা ও ধিক্কারের পাত্র হন। 
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সু চিকে দেয়া সম্মাননা প্রত্যাহার করে নেয়। গণহত্যার মামলায় আন্তর্জাতিক আদালতে তার হাজিরাকে তাই এক নাটকীয় ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছিল। এ আগমন উপলক্ষে দ্য হেগে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়।
 

বিশ্ব বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর