ঢাকা, ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১২ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৩০৩

স্বাস্থ্য-রূপচর্চায় মিষ্টি কুমড়োর প্রভাব

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:৩৩ ১১ অক্টোবর ২০২০  

খাবারের পাতে মিষ্টি কুমড়ো দেখলে অনেকেই নাক সিঁটকান! কারো মতে এটি  কোনও সবজিই নয়! কিন্তু এর চচ্চড়ি থেকে ঘন্টর কদর সর্বত্র। কোনও পাঁচমিশালি রান্নার প্রধান উপকরণ কুমড়ো। এ দিয়ে সুস্বাদু স্যুপ থেকে কাবাব- সবই বানানো যায়। 

 

এটি এমন একটা সবজি যা স্বাস্থ্য ও রূপচর্চায় নানাভাবে কাজে আসে। দ্রুত ওজন কমাতে চাইলে এর থেকে ভালো কিছু নেই। কুমড়ো পুষ্টিতে ভরপুর। অধিকন্তু এতে কোলেস্টেরল, সোডিয়াম, ফ্যাট নেই। এর বীজও খুব উপাদেয়। এ থেকে যে তেল হয়, তা রান্নায় ব্যবহার করলেও ভালো ফল পাওয়া যায়। 

 

কেক, কুকিজ, পাই ইত্যাদি কুমড়ো দিয়ে তৈরি করা যায়। এটি দিয়ে কেক বানালে তা সহজে পাচ্য হয়। উপরন্তু এতে অতিরিক্ত চিনি, ময়দা লাগে না। আটা দিয়েই বানানো যায়। এবার আলোচনা করা যাক কেন ডায়েটে রাখবেন কুমড়ো-

 

ক্যালোরি কম: এতে ক্যালোরি নেই। ১০০ গ্রাম কাঁচা কুমড়োয় তা থাকে ২৬ গ্রাম। রান্না করলে এ ক্যালোরি আরও কমে যায়। এটি সিদ্ধ করে খেতে পারলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়।

 

প্রচুর ফাইবার থাকে: ১০০ গ্রাম কুমড়োতে .০৫ গ্রাম ফাইবার থাকে। হজমে এটি খুবই সাহায্য করে। ফলে পেট পরিষ্কার থাকে এবং ওজন কমে। কুমড়ো খেলে পেট অনেকক্ষণ ভরে থাকে। খিদেও পায় কম।

 

ক্লান্তি কমায়: যেকোনও ওয়ার্কআউটের পর কুমড়ো খান। হাঁটা কিংবা ব্যায়ামে ঘাম ঝরে। এটি ক্লান্তি কমায়।
পটাসিয়ামের ঘাটতি পূরণ: এ সবজিতে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম থাকে। ১০০ গ্রাম কুমড়োতে তা থাকে ৩৪০ গ্রাম। একটা পাকা কলাতেও অত থাকে না। 

 

ইমিউনিটি বাড়াতে: কুমড়োয় থাকে ভিটামিন সি ও বিটা ক্যারোটিন, যা দেহে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি ভালো থাকলে ওজন এমনিই কমে যায়।

 

স্ট্রেস কমায়: মানসিক চাপ বাড়লে ওজন বাড়ে। মন ভালো না থাকলে কোনও কিছু করতে ইচ্ছে করে না। মনে হয় সবকিছু থেকে নিজেকে দূরে রাখা শ্রেয়। কুমড়োতে অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে। যা শরীরের ফিটনেস বাড়ায়। মানসিক প্রশান্তি দেয়।

 

ত্বক ভালো রাখে: কুমড়োয় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে। তাছাড়া এর মধ্যে থাকা বিটা ক্যারোটিন প্রাকৃতিক সানস্ক্রিনের কাজ করে। ভিটামিন সি থাকায় তা চামড়ায় বলিরেখা পড়তে দেয় না। ফলে বয়স অনেক কম দেখায়। তারুণ্য বজায় থাকে।

 

হৃদরোগ-ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে: নানা ক্রনিক রোগ, হার্টের-ক্যান্সারের মতো সমস্যা থেকে সমাধানের পথ দেখায় কুমড়ো।

 

ব্যথা কমায়: যারা পেশীর ব্যাথায় ভোগেন, তারা প্রতিদিন কুমড়ো খেলে ভালো ফল পাবেন। এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম এ কাজে সাহায্য করে।

 

দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে: কুমড়ো খেলে চোখের জ্যোতি বাড়ে। রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এর ভিটামিন এ এক্ষেত্রে দারুণ কাজ করে।