ঢাকা, ২৬ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪ || ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৩৭৭

হতাশ-খুশি ডোমিঙ্গো

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৬:৪০ ৩ অক্টোবর ২০২০  

শ্রীলংকা সফর স্থগিত হওয়ায় হতাশার সঙ্গে খুশির মাত্রাও আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর। সিরিজ না হওয়ায় হতাশা ঝরেছে তার কণ্ঠে। তবে তিনি মনে করেন, ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে আটকে থাকা কঠিনই হতো।

 

কোয়ারেন্টিন ইস্যুতে কয়েক দিন আগে শ্রীলংকার বিপক্ষে টাইগারদের সিরিজ স্থগিত হয়েছে। সফরকারী দলের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে অনড় ছিল লংকান ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)। লংকা সফর করলে হোটেলে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে, এসময়ে অনুশীলনের সুবিধা পাবেন না তামিম-মুশফিরা। তবে বাংলাদেশ চেয়েছিল, সাতদিনের কোয়ারেন্টিন ও অনুশীলনের সুবিধা।

 

শনিবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ডোমিঙ্গো বলেন, শ্রীলংকা সফর হচ্ছে না বলে, আমি খুব হতাশ। তবে আমার মতে, দলের ওপর যেসব শর্ত দেয়া হয়েছিল; তাতে বিসিবি রাজি না হওয়ার সিদ্বান্ত সঠিক ছিল।

 

তিনি বলেন, প্রস্তুতি ছাড়া ঘরে আটকে সময় নষ্ট করা এবং ১০ দিনের মধ্যে একটি টেস্ট খেলা আমাদের পক্ষে খুব কঠিন হতো। আমি এ সিদ্ধান্তকে পুরোপুরি সমর্থন করছি।

 

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে ডোমিঙ্গো জানান, খেলোয়াড়রা যদি শ্রীলংকায় ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতো, তাহলে তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়তো। আমাদের দু’জন খেলোয়াড় পাঁচ-ছয় দিন ধরে আইসোলেশনে আছেন। তারা জানিয়েছেন, মানসিক দিক বিবেচনায় এটি অত্যন্ত কঠিন।

 

তিনি বলেন, শারীরিক দিক ভুলে, আমরা একটি হোটেলের ছোট রুমে ১৪ দিন আটকে থাকব। এটি অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। আমি মনে করি, কিছু খেলোয়াড়ের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। তবে এটি পুরোপুরিভাবে বোর্ডের সিদ্বান্ত।

 

টাইগার কোচ বলেন, সিরিজ খেলতে না পারার হতাশ রয়েছে। তবে খেলোয়াড়রা বোর্ডের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন। তারা আরও বুঝতে পারছে ১৪ দিনে একটি ঘরে আটকে থাকলে মানসিকভাবে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। কয়েকজন এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম হতে পারে। তবে এক বা দু’জনের জন্য এটি কষ্টদায়ক ব্যাপার। এ সিদ্ধান্তগুলো নেয়ার সময়, প্রত্যেকের অনুভূতি বিবেচনা করতে হবে। বিসিবি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

 

কিন্তু লংকা সিরিজ স্থগিত হওয়ায় এ বছর বাংলাদেশের কোনও আন্তচর্জাতিক ম্যাচ নেই। এতে ক্রিকেটারদের ঘাটতি থেকে যায়। তবে এ নিয়ে মোটেও উদ্বিগ্ন নন ডোমিঙ্গো। খেলোয়াড়দের সঙ্গে কিছু সময় কাটাতে পারবেন বলে খুশি তিনি। পাশাপাশি পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফেরার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

 

তিনি বলেন, অনুশীলন শুরু করার সিদ্বান্ত, নিজেদের ম্যাচ ও ঘরোয়া আসর খেলোয়াড়দের ক্রিকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সহায়তা করবে। এর ফলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দারুণভাবে ফিরতে আসতে পারবে তারা।

 

দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ বলেন, দীর্ঘ দিন যাবত আমরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে আছি। সর্বশেষ জিম্বাবুয়ে সিরিজের পর প্রায় সাত মাস এ ক্রিকেট থেকে দূরে। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আমরা ভালো সিরিজ খেলেছি।

 

ডোমিঙ্গো বলেন, বিসিবি কিছু ঘরোয়া লিগ করছে। ডিসেম্বরে খেলার জন্য বাইরের দেশ থেকে দু’একটি আমন্ত্রণ এসেছে। এখনও কিছু নিশ্চিত করা হয়নি। আমি মনে করি, সঠিকভাবে ঘরোয়া ক্রিকেট হওয়া প্রয়োজন। কোচ হিসেবে, আমি প্রথমে ছেলেদের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে পছন্দ করব।  এরপর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাবে। যদি কোনও ঘরোয়া ক্রিকেট থাকে, সেটি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট।

 

একইসঙ্গে বিসিবি আয়োজিত খেলোয়াড়দের ফিটনেস ও স্কিল ট্রেনিংয়ে খুশি ডোমিঙ্গো।
তিনি বলেন, আমি মনে করি, আমরা খুবই ভাগ্যবান, ব্যক্তিগত অনুশীলনের আয়োজন করে বিসিবি দুর্দান্ত কাজ করেছে।

 

টাইগার কোচ বলেন, গত তিন-চার মাস ধরে ছেলেরা অনেক বেশি ব্যস্ত। আমরা এখানে প্রায় এক মাস ধরে আছি। তারা যে কাজ করছে, তাতে আমি গর্বিত। ওরা ভালো শারীরিক অবস্থায় আছে। অনেক খেলোয়াড় নেটে ভালো অবস্থায় আছে। বোলাররা নিজেরাই ফিট হয়েছেন। তাসকিনকে অবিশ্বাস্য লাগছে। এটি দারুণ।

খেলাধুলা বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর