ঢাকা, ০৮ অক্টোবর বুধবার, ২০২৫ || ২২ আশ্বিন ১৪৩২
good-food
১৬

দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের তদন্ত শুরু

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:০২ ৭ অক্টোবর ২০২৫  

দল হিসেবে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের বিচারের আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। এরই মধ্যে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। 

 

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, “মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের ব্যাপারে আগেই অভিযোগ দিয়েছে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) নামে একটি রাজনৈতিক দল। সেটার ভিত্তিতে তদন্ত করছি। সুতরাং এই মুহূর্তে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপরাধী সংগঠন হিসেবে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য প্রাথমিক তদন্তের কাজটা আমরা শুরু করতে যাচ্ছি। পুরোদমে শুরু হলে আমরা বলতে পারব দলটির বিচারের মুখোমুখি হওয়ার ব্যাপারটা কতদূর রয়েছে। তবে অভিযোগটি আমরা এখন গুরুত্ব দিয়ে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ করছি।”

 

গত বছরের ২ অক্টোবর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের বিচার নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবর অভিযোগ করেন এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। 

 

এতে গণহত্যার সরাসরি হুকুমদাতা হিসেবে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি ১৪ দলীয় জোটকেও দায়ী করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

 

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের। দলটির সভাপতি ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেদিন প্রধানমন্ত্রিত্ব ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান।

 

ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের তিন দিনের মাথায় অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়। জুলাই-অগাস্টের অভ্যুত্থানে সংঘটিত সহিংসতা ও হতাহতের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হতে থাকে।

 

যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল, সেই একই ট্রাইব্যুনালেই এখন শেখ হাসিনাসহ তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। 

 

আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে আসছিল অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে চলতি বছরের ১২ মে সরকার এক প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে বলে জানানো হয়।