ঢাকা, ২০ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৮১৪

যে ছিল দৃষ্টির সীমানায় 

চিরবিদায় শাহনাজ রহমতুল্লাহ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:৪৮ ২৪ মার্চ ২০১৯  

যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়  ...  সে হারালো কোথায় কোন অজানায় …  

হারিয়ে গেলেন চিরতরে। লোকচক্ষু থেকে। তবে হৃদয়ে রয়ে যাবেন নিশ্চয়ই।

অগণিত ভক্ত-শ্রোতা-নিকটজনদের শোকের সাগরে ভাসিয়ে চিরবিদায় নিলেন বরেণ্য সংগীতশিল্পী শাহনাজ রহমতউল্লাহ।  

আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে সামরিক বাহিনীর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে বাদ জোহর শাহনাজ রহমতউল্লাহর জানাজা হয় বারিধারার ৯ নম্বর সড়কের পার্ক মসজিদে।

 

গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় বারিধারায় নিজ বাসায় ইন্তেকাল করেন শাহনাজ রহমতউল্লাহ (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।

তিনি স্বামী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। স্বামী মেজর (অব.) আবুল বাশার রহমতউল্লাহ ব্যবসায়ী। মেয়ে নাহিদ রহমতউল্লাহ থাকেন লন্ডনে। আর ছেলে এ কে এম সায়েফ রহমতউল্লাহ যুক্তরাষ্ট্রের এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করে এখন কানাডায় থাকেন।

 

আজ রোববার বেলা পৌনে তিনটায় শাহনাজ রহমতউল্লাহর দাফন সম্পন্ন হয়। এ সময় স্বামী আবুল বাশার রহমতুল্লাহ ছাড়াও শিল্পীর আত্মীয়স্বজন ও সহকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

বাংলাদেশের গানের জগতে অত্যন্ত পরিচিত নাম শাহনাজ রহমতউল্লাহ। জন্ম ১৯৫৩ সালে। ১০ বছর বয়স থেকেই গান শুরু। খুব কম বয়সেই গান করেন চলচ্চিত্র, টেলিভিশন আর বেতারে। খেলাঘর থেকে শুরু করা এ শিল্পীর কণ্ঠ শুরু থেকেই ছিল বেশ পরিণত।

গজলসম্রাট মেহেদি হাসানের শিষ্য হয়েছিলেন তিনি। বাংলাদেশের দেশাত্মবোধক গানের দিকটা ধরতে গেলে সবার আগেই চলে আসে শাহনাজ রহমতউল্লাহর নাম। তাঁর ভাই আনোয়ার পারভেজ ছিলেন সুরকার, তাঁর আরেক ভাই চিত্রনায়ক জাফর ইকবালও গান করতেন।

আনোয়ার পারভেজ চলে গেছেন ২০০৬ সালে। নায়ক জাফর ইকবালের অকাল মৃত্যু হয়েছে তারও আগে ১৯৯২ সালে। দুই ভাইয়ের মধ্যমণি বোনটিও বিদায় নিলেন শনিবার।

‘এক নদী রক্ত পেরিয়ে’,  ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’,  ‘একতারা তুই দেশের কথা বলরে, এবার বল’,  ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশসহ বহু জনপ্রিয় গানে কণ্ঠ দিয়েছেন শাহনাজ রহমত উল্লাহ।

২০০৫ সালে বিবিসির জরিপে সর্বকালের সেরা ২০টি বাংলা গানের তালিকায় শাহনাজ রহমত উল্লাহর গাওয়া চারটি গান স্থান পায়।

৫০ বছরের সঙ্গীত জীবনে শাহনাজ রহমত উল্লাহর ৪ টি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়। সঙ্গীতে অবদানের জন্য একুশে পদক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ছাড়াও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার, বাচসাস পুরস্কারসহ অনেক সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন তিনি।

 

প্রচুর জনপ্রিয় দেশাত্মবোধক গানের পাশাপাশি তার গাওয়া  ‘যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়’,  ‘সাগরের তীর থেকে’,  ‘খোলা জানালা’,  ‘পারি না ভুলে যেতেইত্যাদি অনেক গানই বাঙালি সঙ্গীতপ্রেমীদের মুখে মুখে।

বিনোদন বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর