ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪ || ১৪ চৈত্র ১৪৩০
good-food
৬৭৯

বনানীতে শাহনাজ রহমত উল্লাহর দাফন

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০৮:৫৯ ২৫ মার্চ ২০১৯  

জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী শাহনাজ রহমতউল্লাহর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে সামরিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। বাদ জোহর শাহনাজ রহমতউল্লাহর জানাজা হয় বারিধারার ৯ নম্বর রোডের পার্ক মসজিদে।
শনিবার রাত ১১টায় বারধারা ডিওএসএইচের বাসায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। তিনি স্বামী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।

স্বামী মেজর (অব.) আবুল বাশার রহমতউল্লাহ ব্যবসায়ী। মেয়ে নাহিদ রহমতউল্লাহ থাকেন লন্ডনে আর ছেলে এ কে এম সায়েফ রহমতউল্লাহ এখন কানাডায় থাকেন।

ক্যারিয়ারের ৫০ বছর পূর্তির সময়ই গান থেকে বিদায় নেন এই গুনী শিল্পী।

১৯৫৩ সালে জন্মগ্রহণ করা এ শিল্পী ১০ বছর বয়স থেকেই গান শুরু করেন। প্রায় সেই বয়সেই গান করেন চলচ্চিত্র, টেলিভিশন আর বেতারে। খেলাঘর থেকে শুরু করা এ শিল্পীর কণ্ঠ শুরু থেকেই ছিল বেশ পরিণত। গজল সম্রাট মেহেদি হাসানের শিষ্যা হয়েছিলেন তিনি। চলচ্চিত্রে গান গাওয়া শুরু করেন ১৯৬৩ সালে ‘নতুন সুর’ ছবির মাধ্যমে।

তার বিখ্যাত গানগুলো হলো ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’, ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ’, ‘এক নদী রক্ত পেরিয়ে’, ‘আমার দেশের মাটির গন্ধে’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বল রে আমায় বল’, ‘আমায় যদি প্রশ্ন করে’, ‘কে যেন সোনার কাঠি’, ‘মানিক সে তো মানিক নয়’, ‘যদি চোখের দৃষ্টি’, ‘সাগরের তীর থেকে’, ‘খোলা জানালা’, ‘পারি না ভুলে যেতে’, ‘ফুলের কানে ভ্রমর এসে’, ‘আমি তো আমার গল্প বলেছি’, ‘আরও কিছু দাও না’, ‘একটি কুসুম তুলে নিয়েছি’।

১৯৯২ সালে একুশে পদক পান শাহনাজ রহমত উল্লাহ। ১৯৯০ সালে ছুটির ফাঁদে ছবিতে গান গেয়ে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি।  ২০১৬ সালে চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড আয়োজনে আজীবন সম্মাননা, ২০১৩ সালে সিটি ব্যাংক থেকে তাকে গুণীজন সংবর্ধনা দেওয়া হয় ।

বিনোদন বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর