ঢাকা, ১৩ সেপ্টেম্বর শনিবার, ২০২৫ || ২৮ ভাদ্র ১৪৩২
good-food
৭৭৮

বিশ্বকাপে শুভসূচনা ইংল্যান্ডের

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২৩:৩৯ ৩০ মে ২০১৯  

এবারের বিশ্বকাপে সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়নের তালিকায় সবার ওপরে আছে ইংল্যান্ড। উদ্বোধনী ম্যাচে ফেভারিটের মতোই খেললো স্বাগতিকরা।  দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়িয়ে দিয়েছে তারা। প্রোটিয়াদের ১০৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে ইংলিশরা।

৩১২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। আর্চারের বাউন্সারে মাথায় আঘাত পেয়ে রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন হাশিম আমলা। পরপরই তার বলে রুটের হাতে ধরা পড়েন এইডেন মার্করাম। আর্চারের তৃতীয় শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন প্রোটিয়া অধিনায়ক ডু প্লেসিস। ব্যক্তিগত রানে মঈন আলির হাতে ধরা পড়েন তিনি। বিপর্যয়ের মধ্যে মঈনের বলে স্টোকসের তালুবন্দি হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন জেপি ডুমিনি। তিনি করেন মাত্র রান। খানিক বাদে রানআউটের শিকার হয়ে ফেরেন প্রিটোরিয়াস।

পরে ভ্যান ডার ডুসেনকে নিয়ে খেলা ধরেন কুইন্টন ডি কক। প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন তারা। তবে আর্চারের বলে মঈনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিফটি করে ডুসেন ফিরলে হারের মুখে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। পরপরই লিয়াম প্ল্যাঙ্কেটের বলে রুটকে লোপ্পা ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ডি কক। তিনি করেন দলীয় সর্বোচ্চ ৬৮ রান। শেষদিকে যা একটু চেষ্টা করেন আন্দিলে ফিকোয়াও। রশিদের বলে স্টোকসকে ক্যাচ দিয়ে ২৪ রান করে তিনি  ফিরলে জয়টা সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় ইংল্যান্ডের। শেষ পর্যন্ত ৩৯. ওভারে ২০৭ রানেই অলআউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১০৪ রানের বিশাল জয় পায় মরগানের দল।

এর আগে  চার হাফসেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে উইকেটে ৩১১ রানের পাহাড় গড়ে ইংল্যান্ড। বৃহস্পতিবার ওভালে টস জিতে আগে বোলিং নেন প্রোটিয়া অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। শুরুতেই উত্তাপ ছড়ান ইমরান তাহির। ইনিংসেরদ্বিতীয় বলে জনি বেয়ারস্টোকে তুলে নেন তিনি। পরে রয় রুটের হাফসেঞ্চুরিতে সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠে স্বাগতিকরা। রানে হারানো প্রথম উইকেটের পর রয়-রুট গড়েন ১০৬ রানের জুটি। পথিমধ্যে রয় ১৫তম রুট ক্যারিয়ারে ৩১তম হাফসেঞ্চুরি তুলেনেন। এতে চালকের আসনে থাকে ইংল্যান্ড। তবে রয় আউটের পর পরই রুট ফিরে গেলে বিপদে পড়ে ইংলিশরা। রয় ৫৪ রান করেআন্দিলে ফিকোয়াওয়ের বলে মিড অফে ধরা পড়েন অধিনায়ক প্লেসিসের হাতে। পরের ওভারে কাগিসো রাবাদার শিকার রুট। ৫১ রানকরে  পয়েন্টে জেপি ডুমিনির তালুবন্দি হন তিনি।

১১১ রানে তিন ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেন মরগান স্টোকস। তাদের ব্যাটে ফের খেলায় ফেরে ইংল্যান্ড। চতুর্থউইকেটে ১০৬ রানের জুটি গড়েন তারা। ক্যারিয়ারে ৪৬তম হাফসেঞ্চুরি তুলে তাহিরের দ্বিতীয় শিকার হন মরগান। এর আগে ৬০ বলে ৪চার ছক্কায় ৫৭ রান করেন ইংলিম অধিনায়ক।

দলীয় ২১৭ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে মরগানের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। তবে উইকেটের একপাশআগলে রাখেন স্টোকস। অন্য প্রান্তের ব্যাটসম্যানরা আসা-যাওয়া করলেও বুক চিতিয়ে লড়েন তিনি। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়েসেঞ্চুরির পথে এগোচ্ছিলেন স্টোকস। কিন্তু ইনিংস শেষ হওয়ার ১৫ বল আগে লুঙ্গি এনগিদির বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে হাশিমআমলার হাতে ধরা পড়েন তিনি। ফেরার আগে করেন ৭৯ বলে চারে ৮৯ রান।  প্রোটিয়াদের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট নেন লুঙ্গিএনগিদি। এছাড়া দুটি করে উইকেট নেন তাহির রাবাদা।

খেলাধুলা বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর