ঢাকা, ০৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার, ২০২৫ || ২০ ভাদ্র ১৪৩২
good-food
৪৪৩

উড়ন্ত পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে দুরন্ত অস্ট্রেলিয়া

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০২:৩৫ ১২ নভেম্বর ২০২১  

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরু থেকে উড়ছিল পাকিস্তান। সুপার টুয়েলভে কোনো ম্যাচ না হেরেই সেমিফাইনালে ওঠে তারা। তবে সেখানেই ধরা খেল বাবর আজমরা। ৫ উইকেটে হারিয়ে তাদের মাটিতে নামিয়ে ফাইনালে উঠল অস্ট্রেলিয়া।

 

অজিদের জয়ের নায়ক মার্কাস স্টয়নিস ও ম্যাথু ওয়েড। শেষদিকে ঝড় তোলেন তারা। গড়ে ১২ এর ওপর রানও তুলে ফেলে এ জুটি। ২টি করে চার-ছক্কায় ৩১ বলে ৪০ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন স্টয়নিস। তবে বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন ওয়েড। মূলত তার টর্নেডোতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় পাকিস্তান। তিনি মাত্র ১৭ বলে ২ চারের বিপরীতে ৪ ছক্কা হাঁকিয়ে করেন ৪১ রান।

 

এতে ইতিহাসও অক্ষত থাকে। এখন পর্যন্ত আইসিসির কোনো ইভেন্টে নকআউট পর্বে অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারেনি পাকিস্তান। এবারও ব্যত্যয় ঘটল না। আগামী ১৪ নভেম্বর ফাইনালে মহাদেশীয় দল নিউজিল্যান্ডের মোকাবেলা করবে ফিঞ্চ বাহিনী। স্বাভাবিকভাবেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নতুন চ্যাম্পিয়ন পেতে যাচ্ছে বিশ্ব।

 

জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় অস্ট্রেলিয়া। শাহীন শাহ আফ্রিদির এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরত আসেন অ্যারন ফিঞ্চ। তবে পরে মিচেল মার্শকে নিয়ে খেলা ধরেন ডেভিড ওয়ার্নার। দুজনই খুনে মেজাজে খেলতে থাকেন।

 

এতে বনবন করে রানের চাকা। তবে হঠাৎ খেই হারান মার্শ। দলীয় ৫২ রানে তাকে তুলে নেন শাদাব খান। এরপর তার ঘূর্ণিতে কাঁপে অজিরা। তাতে একে একে সাজঘরের পথ ধরেন ওয়ার্নার, স্টিভ স্মিথ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। প্রত্যেকেই তুলে নেন তিনি।

 

অবশ্য ওয়ার্নার যতক্ষণ ছিলেন ততক্ষণ রান হতেই থাকে। ৩টি করে চার-ছক্কায় ৪৯ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন তিনি। এ ওপেনার ফিরতেই চাপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। পরে ক্রিজ আঁকড়ে ধরেন স্টয়নিস ও ওয়েড।

 

বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) রাত ৮টায় দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ফিল্ডিং নেন অজি অধিনায়ক ফিঞ্চ। এতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত শুরু করেন বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। উদ্বোধনী জুটিতে তারা তোলেন ৭১ রান।

 

৩৪ বলে ৫ চারে বাবর ৩৯ রান করে ফিরলেও থেকে যান রিজওয়ান। ব্যাটে রানের ফোয়ারা ছোটান তিনি। এ পথে এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ রান করার রেকর্ড গড়েন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। তাকে দারুণ সঙ্গে দেন ফখর। তাতে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যায় পাকিস্তান।

 

কিন্তু হঠাৎ মিচেল স্টার্কের বল তুলে খেলতে গিয়ে ফেরেন রিজওয়ান। বিদায়ের আগে ৫২ বলে ৩ চারের বিপরীতে ৪ ছক্কায় খেলেন ৬৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। এরপর ক্রিজে এসে এদিন জ্বলে উঠতে পারেননি হার্ডহিটার আসিফ আলি। রানের খাতা না খুলেই প্যাট কামিন্সের শিকার হন তিনি।

 

পরে ব্যর্থ হন অভিজ্ঞ শোয়েব মালিকও। তবে একপ্রান্ত আগলে থেকে যান ফখর। চার-ছক্কা হাঁকাতেই থাকেন তিনি। এতে শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেটে ১৭৬ রান তোলে পাকিস্তান। ৩২ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৫৫ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন ফখর।

খেলাধুলা বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর