ঢাকা, ২৭ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪ || ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
১৩০৭

ঠাকুরমা ইন্দিরার ঘরেই বসছেন প্রিয়াঙ্কা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:৫৩ ২৫ জানুয়ারি ২০১৯  

ঠাকুরমা ইন্দিরা গান্ধীকে প্রতি পদক্ষেপে মনে করিয়ে দেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। সেই নাতনি আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে পা দেয়ার পর লক্ষ্নৌর দলীয় কার্যালয়ে ঠাকুরমার স্মৃতিসম্বলিত ঘরটিও যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। ওই ঘরে ওঠার একটা পৃথক সিঁড়ি আছে। যেটা শুধু ইন্দিরাই ব্যবহার করতেন। পরিষ্কার করা হচ্ছে সেই সিঁড়িও।

উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেস সূত্রের খবর, শিগগির ওই সিঁড়ি বেয়ে ঠাকুরমার ঘরটিতে এসে বসবেন প্রিয়াঙ্কা। ঠাকুমার সঙ্গে তার সাদৃশ্যের কথা অস্বীকার করেন না তিনি নিজেও বলেছিলেন এক সাক্ষাৎকারে, আমায় দেখতে আমার ঠাকুরমার মতো। ছোটবেলায় এমন একটা বাড়িতে বড় হয়েছি, যেখানে তিনিই ছিলেন কর্তী। তার একটা প্রভাব তো আমার ওপর পড়েছিল। তবে স্বভাবের দিক থেকে তার দাবি, তিনি বাবা রাজীব গান্ধীর বেশি কাছাকাছি— অনেক ‘নরম’।

আমি কিন্তু আমার মা এবং ভাইয়ের থেকে অনেক বেশি নিভৃতে থাকতে পছন্দ করি। তবে লাজুকও নই। কেউ জানতে চাইলে নিজের অবস্থান স্পষ্ট বলে দিই। দীর্ঘদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন প্রিয়াঙ্কা।

২০০৪ সালে অমেঠীতে প্রথমবার লোকসভা ভোটে দাঁড়ান রাহুল গান্ধ। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় তার গাড়িসফরে আগাগোড়া সঙ্গী প্রিয়াঙ্কা এবং তার স্বামী রবার্ট বঢরা। ক্ষেতের কাজ ফেলে ছুটে আসা গরিব মানুষজন কপাল চাপড়ে বলতেন, এ যেন যুবতী ইন্দিরা ফের হাজির!

সাংবাদিকদের সঙ্গে সেবার সাবলীলভাবেই কথা বলেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। তখন রাহুল ছিলেন মিডিয়ার চোখে স্বল্পবাক ও অর্ন্তমুখী। দাদাকে সামনে এগিয়ে দিতে উন্মুখ বোন সেদিন বলেছিলেন, রাহুল আমার থেকেও অনেক বেশি এবং ভালো কথা বলে।

ওইবার সনিয়া গাঁন্ধীর প্রচারের বেশিরভাগ বক্তৃতাও লিখে দিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। কয়েক বছর পরে তিনিই আবার জানিয়েছিলেন, এখন আর লিখে দেয়ার দরকার পড়ে না। আমার মা জনসভায় বক্তৃতা দেয়ার ব্যাপারে আগে খুব লাজুক ছিলেন। কিন্তু পরিবেশ-চ্যালেঞ্জ-পরিস্থিতির সঙ্গে সঙ্গে অনেক বদলে গিয়েছেন। একইভাবে বদলেছে রাহুলও।

রাজনৈতিক শিবির বলাবলি করছে— শুধু ইন্দিরার মতো দেখতে বলে নন, কেবল রাজীবের মেয়ে বলে নন, অপেক্ষাকৃত নবীন প্রজন্মের কাছেও প্রিয়াঙ্কার ব্যক্তিত্ব ও ক্যারিশমা প্রায় লোককথার মতো। অমেঠী-রায়বরেলীর মাঠঘাট-চৌরাহায় তাকে কদাচিৎ দেখা গেলেও বেশিরভাগ সময়েই তিনি ধরাছোঁয়ার বাইরে। সেটা জনচিত্তে তার আকর্ষণকে আরও বাড়িয়েছে।

রাজীব-হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্ত নলিনী মুরুগনের সঙ্গে সেলে গিয়ে দেখা করা এবং ক্ষমা প্রদর্শনের ঘটনা গণমনে প্রিয়াঙ্কার চরিত্রে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে।