ঢাকা, ১৯ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৬৭৫

রোগশোকে ভুগছেন, সকালে উঠে কী ৮ ভুল করছেন?

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:৪৩ ১৭ অক্টোবর ২০২০  

সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকেই কী মেজাজ বিগড়ে থাকে? ব্রেকফাস্ট করেন না? সবকিছুতেই বিরক্তি ভাব? তাহলে এ আর্টিকেল আপনার জন্যই। দেখে নিন সহজ ৮টি টিপস। এসব ভুল এড়িয়ে চলতে পারলে আপনি থাকবেন ফিট।

 

ঘুম থেকে উঠেই জিমে যাবেন না: ঘুম থেকে উঠে কোনোমতে ফ্রেশ হয়েই জিমে যাবেন না। কারণ, সকালের শুরুটা একটু ধীর হওয়া দরকার। এসময় শরীরের পেশী অত কর্মক্ষণ থাকে না। দিনের শুরু করুন কোনও মন্ত্রে কিংবা আধ্যাত্মিক মিউজিক শুনে। 

 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দিনের শুরু হোক প্রার্থনায়। এরপর জিমে যান। কারণ, এর মতো হালকা ব্যায়াম না করে জিম শুরু করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। প্রার্থনা বডি টোনিংয়েও সাহায্য করে। অধিকন্তু সকালে প্রার্থনা করলে মন ভালো থাকে। ১৫ মিনিট প্রার্থনার পর একটা লম্বা শ্বাস নিন। কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে থাকুন। দেখবেন মনে প্রশান্তি আসছে।

 

স্ট্রেচিং নয়: সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর পেশি পুরোপুরি শান্ত থাকে। ফলে হঠাৎ করে স্ট্রেচিং শুরু করলে তাতে টান ধরতে পারে। যে কারণে সারাদিন নানা সমস্যার মুখে পড়তে হয়। তাই সকালে উঠেই স্ট্রেচিং নয়। আর অবশ্যই এটি করার আগে লম্বা করে শ্বাস নেবেন।

 

চিনি ছাড়া চা খান: মেটাবলিজম রেট বাড়াতে চান? তাহলে দিনের শুরুতেই খান ১ কাপ চা। সকালের হালকা এক্সসারসাইজের পর চা অবশ্যই খাবেন। এটি খেয়ে জিমে যান। তবে এ চা হতে হবে অবশ্যই চিনি ও দুধ ছাড়া। এমনকি কফি খেলেও তাতে মেশাবেন না। সেই সঙ্গে গরম পানি লেবু দিয়ে খান। চায়ের বদলে গ্রিন টিও খেতে পারেন।

 

ফোন ঘাঁটবেন না: চোখ খুলেই ফোন ঘাঁটা আপনার অভ্যাস? তাহলে আজই তা বন্ধ করুন। সকালে উঠে ফোন ঘাঁটার অভ্যাস থাকলে তা অবিলম্বে বন্ধ করুন। কারণ, বিশ্বের কোনও সমস্যার সমাধানই ওই ৫ মিনিটে হবে না। বরং যে বিষয়ে মন দিলে ভালো থাকবেন সেদিকে নজর দিন। সকাল ১০টার আগে পারতপক্ষে হোয়্যাটসঅ্যাপও এড়িয়ে চলুন। ফোন, মেলের উত্তর অফিস গিয়ে দেয়ার অভ্যাস করুন। তাহলে নিজে ভালো থাকবেন, কাজেও মন বসবে। ভোরে ঘুম থেকে উঠে মন বিক্ষিপ্ত হলে সারাদিন কাজে খুবই অসুবিধা হয়। কর্মক্ষেত্রে গিয়েও একটু সময় বের করে ২০ মিনিট নিজের মতো বিশ্রাম নেবেন।


ব্রেকফাস্ট বাদ দেবেন না: ব্রেকফাস্ট বাদ দিলে তা থেকে ওজন বৃদ্ধি, ডায়াবেটিসের মতো নানাবিধ সমস্যা আসতে পারে। কমতে পারে রোগ- প্রতিরোধ ক্ষমতা। প্রচুর খেতে হবে এমন নয়। কিন্তু ব্রেকফাস্ট করুন। কারণ, রাতের পর দীর্ঘ সময় পেট ফাঁকা থাকছে। তাই সকালে খাওয়ার মাধ্যমে সেই শূন্যস্থান পূরণ করা খুব জরুরি। এছাড়া এসময় না খেলে সারাদিন খাওয়ার ইচ্ছাটাও থাকে না। তাই কিছু অবশ্যই খান। ভেজানো আমন্ড, ব্রেড, রুটি, তরকারি, ফল যা পান।

 

ঘুম থেকে উঠেই ব্যস্ততা নয়: ঘুম থেকে উঠেই হুড়োহুড়ি করবেন না। এতে মন সঠিক সংকেত পায় না। মনোবিদরা বলছেন, সকালে উঠে অন্তত ১০ মিনিট প্রকৃতির শব্দ শুনুন। পাখিক ডাক বা অন্য কিছু হতে পারে। ঘুম থেকে উঠেই অযথা চিৎকার, চেঁচামেচিতে যাবেন না। এতে পজিটিভ এনার্জি নষ্ট হবে। সবচেয়ে ভালো যদি কোনও মন্ত্র শুনতে পারেন।

 

দিনের পরিকল্পনা করে রাখুন: পরের দিন সকালে উঠে কোন কোন কাজ করবেন, সেই পরিকল্পনা আগেই করে রাখুন। তাহলে সমস্যা কম হবে। বলা ভালো অতিরিক্ত সময় নষ্ট হবে না। ব্রেকফাস্টে কি খাবেন, কি পরে অফিস যাবেন-সবকিছুই হাতের সামনে রাখুন। সকালে উঠে এ পরিকল্পনা করতে বসলে অনেক সময় নষ্ট হয়।

 

ব্ল্যাক কফি, সিগারেট নয়: সকালে উঠে একটা সিগারেটের সঙ্গে কড়া ব্ল্যাক কফি না হলে আমেজ কোথায়? এ অভ্যাস বন্ধ করুন। ঘুম থেকে উঠে দিনের শুরু করুন নিয়ম মেনে। এমন কিছু করবেন না যাতে লোক দেখাতে গিয়ে নিজের শরীরের ক্ষতি হয়। খালি পেটে সিগারেট শরীরের হজমশক্তি নষ্ট করে। তাই ফাঁকা পেটে এসব কিছুই নয়। সুযোগ না থাকল শুধু এক গ্লাস পানি খান। অন্যথায় ডিটক্স ওয়াটারেই দিনের শুরু হোক। সেই সঙ্গে খান ১ বাটি ফল। চিনি ছাড়া বিস্কুট। এরপর খেতে পারেন ব্ল্যাক কফি। এভাবে চললে দেখবেন সুস্থ থাকছেন দীর্ঘদিন।