ঢাকা, ১৩ সেপ্টেম্বর শনিবার, ২০২৫ || ২৮ ভাদ্র ১৪৩২
good-food
৭৬৪

সৌম্যর রেকর্ড ডাবল সেঞ্চুরিতে আবাহনী চ্যাম্পিয়ন

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:০৪ ২৩ এপ্রিল ২০১৯  

জাতীয় দলের তারকায় ভরা আবাহনীকে আসরজুড়ে নিজেদের শতভাগ পারফর্ম্যান্স দিতে দেখা যায়নি। বিশেষ করে টপঅর্ডার থেকে বড় স্কোরের দেখা পাচ্ছিলেন না খালেদ মাহমুদ সুজনের শিষ্যরা।

জহুরুল ইসলাম অমি টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে আবাহনীর টপঅর্ডার টেনে নিলেও সম্পূর্ণ অচেনা ছিলেন সৌম্য সরকার। বিকেএসপিতে রূপগঞ্জের বিপক্ষে ম্যাচের আগ পর্যন্ত শিরোপার দৌড়ে পিছিয়ে ছিল প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসের সবচেয়ে সফল দলটি। কিন্তু মোক্ষম সময়ে সৌম্যর ব্যাট জ্বলে ওঠে, সঙ্গে উত্তাপ ছড়ান ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।

বিকেএসপিতে এবারের আসরের শেষ ম্যাচে বিধ্বংসী সৌম্যর চূড়ান্ত রূপ দেখলেন শেখ জামালের বোলাররা। ৩১৮ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের ১৭ বল বাকি থাকতেই ৯ উইকেট হাতে রেখেই আবাহনীকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন বাঁহাতি ওপেনার। সুযোগ ছিল ১০ উইকেটের বড় জয় ছিনিয়ে নেয়ার। কিন্তু শেষ দিকে জয় থেকে ৬ রান দূরে থাকা অবস্থায় জহুরুল আউট হয়ে যান।

লিস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন সৌম্য। ১৪৯ বলে ১৪টি চার ও ১৫টি ছক্কায় ২০০ রানের ইতিহাস গড়া ইনিংস খেলেন মারকুটে ব্যাটসম্যান। শেষ পর্যন্ত ১৫৩ বলে অপরাজিত ২০৮ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলে আবাহনীকে চ্যাম্পিয়ন করাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন তিনি।

বলার অপেক্ষা রাখে না, সৌম্যর ২০৮ রানের ইনিংসটি বাংলাদেশের লিস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর। ইনিংসজুড়ে ১৬ ছক্কা হাঁকিয়েও রেকর্ড গড়েছেন তিনি। নিজের গড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ ছক্কা রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছেন সরকার।

সৌম্যর চোখধাঁধানো ইনিংসে ফিকে মনে হয়েছে আরেক সেঞ্চুরিয়ান জহুরুল ইসলামের ইনিংস। এবারের ডিপিএলে তৃতীয় সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে ১২৭ বল খরচা করেন তিনি। সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ডও নিজেদের করে নিয়েছেন জহুরুল ও সৌম্য। বোলারদের কোনো সুযোগ না দিয়েই ৩১২ রান যোগ করেন প্রথম উইকেট জুটিতে। শেখ জামালের পার্টটাইম বোলার ইমতিয়াজের বলে জহুরুল আউট হলে ম্যারাথন জুটি ভাঙে। শেষ পর্যন্ত নিজের ছক্কাবৃষ্টির দিনে ইনিংসের ৪৭.১ ওভারে তাইজুলকে ব্যক্তিগত ১৬তম ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করেন সৌম্য।

এর আগে ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস খেলে শেখ জামালকে ৩১৭/৯  রানের পাহাড়ে পৌঁছে দেন তানবীর হায়দার। টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের ভরাডুবির পর খাঁদের কিনার থেকে দলকে টেনে তোলেন তিনি। ইনিংসের ১৭তম ওভারে দলীয় ৮৫ রানে ওপরের সারির পাঁচ উইকেট হারিয়ে বসে শেখ জামাল।

 

সেখান থেকে দলের হয়ে হাল ধরেন ইলিয়াস সানি ও তানবীর। দ্রুত অর্ধশত রানের জুটি গড়ে দলকে মান বাঁচানো স্কোরে পৌঁছে দেয় এই জুটি। ৪৬ বলে ৪৫ রান যোগ করে সানি বিদায় নিলেও ছন্দ ধরে রাখেন তানবীর। এবারের ঢাকা লিগে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে তানবীরকে ভালো সঙ্গ দেন মেহরাব হোসেন। আবাহনীর বোলারদের ঘাম ঝরিয়ে আরেকটি একশ ছুঁই ছুঁই জুটি গড়েন তানবীর ও মেহরাব।

তানবীর ৫৫ বলে অর্ধশত করার পর ৯৯ বলে লিস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। ১০টি চার ও ২টি ছক্কায় ইনিংস সাজিয়েছেন তিনি। শেখ জামালের লোয়ারঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের একমুখী আক্রমণকে থামানোর দায়িত্ব নেন মাশরাফি। ৪৬তম ওভারে এসে ৩৬ বলে ৪৪ রান করা মেহরাবকে আউট করেন তিনি। দ্রুত রান তুলতে থাকা তাইজুলকেও সাজঘরের পথ দেখান ম্যাশ।

তবে শেষটা ভালো হয়নি আবাহনীর। সেঞ্চুরির পর হাত খুলে খেলে ব্যক্তিগত ও দলের স্কোর বাড়িয়ে নেন তানবীর। শেষ পর্যন্ত ১১৫ বলে ১৩২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন তিনি। আবাহনীর হয়ে দিনের সেরা বোলার ছিলেন মাশরাফি, ৫৬ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন নড়াইল এক্সপ্রেস।

খেলাধুলা বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর