ঢাকা, ১৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার, ২০২৫ || ৩ আশ্বিন ১৪৩২
good-food

চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস, সুস্মিতার কাছে হেরে গিয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:৩১ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫  

শুধু রূপে-গুণেই নয়, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের ব্যক্তিত্ব ও বাকশৈলীতেও মুগ্ধ সবাই। আন্তর্জাতিক পরিসরে এখন স্বচ্ছন্দে ইংরেজিতে সাক্ষাৎকার দেন তিনি। তার শব্দভাণ্ডার ও উচ্চারণ বেশ প্রশংসিত। তবে ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে এ ভাষা নিয়ে নাকি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন না অভিনেত্রী। বরং বিশ্বসুন্দরীর মঞ্চেও ইংরেজিতে দুর্বলতা তাকে ভুগিয়েছে!

 

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুসারে, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে পরিচালক প্রহ্লাদ কক্কড় দাবি করেন, মিস ইউনিভার্সের আসরে সুস্মিতা সেন বিশ্বসুন্দরীর খেতাব পান। এতে বেশ মন খারাপ হয় ঐশ্বরিয়ার। প্রশ্নোত্তর পর্বে তার চেয়ে বেশি নম্বর পান সুস্মিতা। কারণ তার ইংরেজি বেশ ভালো ছিল।

 

এর আগে মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায়ও সুস্মিতার কাছে হারেন ঐশ্বরিয়া। সেখানেও ইংরেজিতে বেশি দক্ষতার কারণেই ঐশ্বরিয়াকে হারাতে পারেন সুস্মিতা। এমনটাই গুঞ্জন রয়েছে। প্রহ্লাদের মতে, আত্মবিশ্বাসের ঘাটতিই সেদিন ঐশ্বরিয়ার পারফরম্যান্সে ধরা পড়ে। যদিও সুস্মিতা সেন বিশ্বসুন্দরীর খেতাব পাওয়ার পর একই বছর মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় শিরোপা জেতেন ঐশ্বরিয়া।

 

প্রহ্লাদ জানান, তখনও ‘হাই হিল’ পরার অভ্যাস তৈরি হয়নি ঐশ্বরিয়ার। প্রতিযোগিতার নিয়মে সেই ধরনের জুতা পরতে বাধ্য হওয়ায় তিনি বারবার অস্বস্তিতে পড়েছিলেন। ফলে উত্তর দেয়ার সময় মনোযোগ ভেঙে যাচ্ছিল, কথার মাঝেই হোঁচট খাচ্ছিলেন। প্রথমে মাতৃভাষায় উত্তর ভেবে পরে ইংরেজিতে অনুবাদ করে বলার চেষ্টা করতেন তিনি। 

 

 

পরিচালকের কথায়, কর্মজীবনের প্রথম দিকটায় ইংরেজিতে সহজভাবে কথা বলার আত্মবিশ্বাস ছিল না ঐশ্বরিয়ার মধ্যে। তুলু বা হিন্দিতে কথা বলতেই বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করতেন তিনি। ইংরেজিতে কম কথা বলতেন বলেই অনেকে ভাবতেন অ্যাশ অহংকারী। আসলে ভয় ছিল, যদি স্পষ্টভাবে নিজের বক্তব্য প্রকাশ করতে না পারেন।

 

যদিও প্রহ্লাদ মনে করেন, খুব কম কথা বললেও ধীরে ধীরে নিঃশব্দে আত্মবিশ্বাস তৈরি করেছিলেন ঐশ্বরিয়া। আর সেই আত্মবিশ্বাসই পরবর্তীতে তাকে কর্মজীবনে উন্নতির পথে এগিয়ে দেয়।

বিনোদন বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর