ঢাকা, ১৩ সেপ্টেম্বর শনিবার, ২০২৫ || ২৮ ভাদ্র ১৪৩২
good-food
৮৮২

ইনিংস হারের শংকায় বাংলাদেশ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৮:৫৭ ২ মার্চ ২০১৯  

কেন উইলিয়ামসনের ডাবল এবং জিত রাভাল টম লাথামের জোড়া সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যামিল্টন টেস্টের প্রথম ইনিংসে উইকেটে ৭১৫ রানের পাহাড় গড়েছে নিউজিল্যান্ড। উইলিয়ামসন অপরাজিত ২০০, লাথাম ১৬১ রাভাল ১৩২ রান করেন। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ২৩৪ রানে অলআউট হয়। ফলে প্রথম ইনিংস থেকে ৪৮১ রানের লিড পায় নিউজিল্যান্ড। বড় ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিন শেষে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেটে ১৭৪ রান করেছে টাইগাররা। ইনিংস হার এড়াতে উইকেট হাতে নিয়ে আরও ৩০৭ রান করতে হবে বাংলাদেশকে।
রাভালের ১৩২, লাথামের ১৬১ অধিনায়ক উইলিয়ামসনের অপরাজিত ৯৩ রানের কল্যাণে নিজেদের প্রথম ইনিংসে দ্বিতীয় দিন শেষে উইকেটে ৪৫১ রান করে নিউজিল্যান্ড।
তৃতীয় দিন নিল ওয়াগনারকে নিয়ে লড়াই শুরু করেন উইলিয়ামসন। দিনের শুরুতেই ৭১ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে ২০তম সেঞ্চুরি তুলে নেন কিউই অধিনায়ক। সেঞ্চুরির পর দলের সংগ্রহ বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নিজের রানকেও বড় করতে থাকেন তিনি। তাকে ভালোই সঙ্গ দেন ওয়াগনার। বেশ মারমুখী মেজাজে দ্রুত রান তোলার কাজটি করেন তিনি। হাফসেঞ্চুরি থেকে রান দূরে থাকতে তাকে বিদায় দেন বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা পেসার এবাদত হোসেন। চার ছক্কায় ৩৫ বলে ৪৭ রান করে উইকেটের পেছনে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে থামেন ওয়াগনার। উইলিয়ামসনের সঙ্গে ৬০ রানের জুটির মধ্যে তারই ছিল ৪৭ রান।
এরপর বিজে ওয়াটলিং জুটি বাঁধেন উইলিয়ামসনের সঙ্গে। এই জুটিতে রান তোলায় পারদর্শীতা দেখান কিউই অধিনায়ক। ৬২ রান করেন তিনি। তবে ৩১ রানে থেমে যান ওয়াটলিং। বাংলাদেশের অফস্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। এই জুটি যোগ করেন ৯৬ রান।
ওয়াটলিংয়ের বিদায়ে ক্রিজে উইলিয়ামসনের সঙ্গী হন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। নিজের ইনিংসের শুরু থেকেই মারমুখী মেজাজ ধারণ করা গ্র্যান্ডহোম ৩৮তম বলেই হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তবে বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলছিলেন উইলিয়ামসন। ১৬৩তম ওভারের শেষ বলে চার মেরে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি পূরণ করে ফেলেন তিনি। তার প্রথম দ্বিশতকটি ছিল ২০১৫ সালে। ওয়েলিংটনে শ্রীলংকার বিপক্ষে অপরাজিত ২৪২ রান করেন উইলিয়ামসন।
নিজের ডাবল-সেঞ্চুরির পরই উইকেটে ৭১৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করেন তিনি। এই প্রথমবারের মতো ৭০০ রানের কোটা স্পর্শ করে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহে রেকর্ড গড়ল নিউজিল্যান্ড। বল হাতে বাংলাদেশের পক্ষে ২টি করে করে উইকেট নিয়েছেন সৌম্য সরকার মেহেদি হাসান মিরাজ। এছাড়া ১টি করে উইকেট নিয়েছেন এবাদত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
৪৮১ রানের লিড নিয়ে চা-বিরতির আগে নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে নিউজিল্যান্ড। ফলে রানের পাহাড়ে পিষ্ট হয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে হয় বাংলাদেশকে। এবারও শুরুটা ভালো ছিল দুই ওপেনার তামিম ইকবাল সাদমান ইসলামের। প্রথম ইনিংসে ৫৭ রানের জুটি গড়া তামিম-সাদমান এবার করেন ৮৮ রান। তামিম-সাদমান জুটিতে ভাঙ্গন ধরান নিউজিল্যান্ডের পেসার ওয়াগনার। ৩৭ রান করা সাদমানকে শিকার করেন প্রথম ইনিংসে উইকেট নেয়া বএ পেসার। চারে ৭১ বলে ৩৭ রান করেন তিনি।
সাদমান ফিরে যাবার আগেই টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৬তম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন প্রথম ইনিংসে ১২৬ রান করা তামিম। পরে ক্রিজে গিয়ে নিজেদের ব্যর্থতা প্রদর্শন করেছেন মুমিনুল হক মোহাম্মদ মিঠুন। মুমিনুল মিঠুন রান করে আউট হন। এরপর মনসংযোগ হারিয়ে ফেলা তামিম আউট হন ৭৪ রানে ১২ চার ছক্কায় ৮৬ বলে নিজের ইনিংসটি সাজান তিনি। তামিম যখন ফিরেন তখন দলের স্কোর উইকেটে ১২৬ রান। তবে দিনের শেষভাগে আর কোনো বিপদ হতে দেননি সৌম্য মাহমুদউল্লাহ। অবিচ্ছিন্ন ৪৮ রানের জুটি গড়েন তারা। সৌম্য ৩৯ মাহমুদউল্লাহ ১৫ রানে অপরাজিত আছেন। নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট ৫৩ রানে উইকট নেন।

খেলাধুলা বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর