ঢাকা, ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১৪ চৈত্র ১৪৩০
good-food
৬০৭

কাশ্মীর পরিস্থিতি যেভাবে দেখছে বিশ্ব মিডিয়া

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:৩৩ ৫ আগস্ট ২০১৯  

ভারত সরকারের নতুন পদক্ষেপ কাশ্মীরে সংঘাত উস্কে দিতে পারে বলে আশংকা করেছে বিশ্ববিখ্যাত গণমাধ্যমগুলো। বিজেপি সরকার ভূস্বর্গে বিশেষ মর্যাদা বা স্বায়ত্বশাসন তুলে নেয়ার পর বিষয়টি বেশ গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করছে আন্তর্জাতিক সব গণমাধ্যম। এ ঘটনা উপমহাদেশের রাজনীতিতে নতুন সংকট তৈরি করবে বলে শংকা করা হচ্ছে।

ব্রিটেনের দ্য গার্ডিয়ান লিখেছে, কাশ্মীরের মর্যাদার বিষয়ে ভারতের যেকোনও সরকারের সবচেয়ে বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত এটি। উপতক্যাকে ভেঙে দুই ভাগ করার ঘটনাকে ‘নাটকীয় পদক্ষেপ’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আরো বলা হয়েছে, এতে পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়বে এবং জম্মু ও কাশ্মিরীদের ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়বে নরেন্দ্র মোদির সরকার।

 আল জাজিরা অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতির এক ডিক্রির মাধ্যমে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নিয়েছে ভারত। গত সাত দশকেরর মধ্যে বিরোধপূর্ণ অঞ্চলটির জন্য এটি সবচেয়ে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত।

সমালোচকরা বলছেন, কেন্দ্রীয় সরকার আশা করছে; আর্টিকেল-৩৭০ বাতিলের মাধ্যমে হিন্দুরা কাশ্মীরে জমি কিনে বসবাস করতে পারবেন। মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাটির জনসংখ্যার চিত্র পাল্টে দিতে পারবেন।

বিবিসি ওয়ার্ল্ডের খবরে ভারত সরকারের পদক্ষেপকে ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা’ হিসেবে উল্ল্যেখ করা হয়েছে। ফলে কাশ্মীরে বড় ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে। আঞ্চলিক উত্তেজনা চরমে উঠেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম সিএনএন লিখেছে, কাশ্মীরের শাসন পদ্ধিতিতে বিতর্কিত পরিবর্তন এনেছে মোদি সরকার। সিএনএন অনলাইন লিখেছে, কাশ্মীর কার্যত স্তব্ধ এখন। একটি থিংক ট্যাংক এ পদক্ষেপকে কাশ্মীরবাসীর জন্য ‘মানসিক আঘাত’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।

আরেক মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াশিংটন পোস্ট লিখেছে, মোদি সরকারের এ পদক্ষেপ কাশ্মীরে নতুন করে সংঘাতের ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে। ফলে নয়াদিল্লির সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীর সম্পর্ক আরো খারাপ হয়েছে।

পাকিস্তানের দ্য ডন লিখেছে, কাশ্মীরকে মুসলিম প্রধান এলাকা থেকে হিন্দুপ্রধান করে তোলার চেষ্টা এটি।

বিশ্ব বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর