ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪ || ১৪ চৈত্র ১৪৩০
good-food
৩৯৫

চলে গেলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া চিত্রগ্রাহক মাহফুজ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৭:১৪ ৬ ডিসেম্বর ২০১৯  

চলে গেলেন দশ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া বরেণ্য চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান খান। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা ২৬ (৬ ডিসেম্বর)  মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি  (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। 

তার পরিবারের সদস্য ও সহকর্মীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে মাহফুজুর রহমান খান ডায়াবেটিস ও ফুসফুসের রোগে ভুগছিলেন।  স্ত্রী মারা যান ২০০১ সালে। তখন থেকেই ধীরে ধীরে তিনিও অসুস্থতায় পড়েন। 
 
গেল ২৫ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগের দিনও  সুস্থ ছিলেন মাহফুজুর রহমান খান। কিন্তু ওইদিন সন্ধ্যায় খেতে বসলে তার কাশির সাথে প্রচণ্ড ব্লিডিং শুরু হয়। এরপর দ্রুত হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখার পরামর্শ দেন।

এরপর থেকেই লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় এই চিত্রগ্রাহককে। কিন্তু ২৮ নভেম্বর ফুসফুস ও পাকস্থলীতে থেমে থেমে রক্তক্ষরণ হচ্ছিলো বলে জানান তার চিকিৎসকরা। এমনকি বিভিন্ন অঙ্গ অকার্যকর হয়ে পড়ে । গত ৩০ নভেম্বর মাহফুজুর রহমান খানের অবস্থা বেগতিক দেখে চিকিৎসকদের পরামর্শে গ্রিন লাইফ হাসপাতাল থেকে ইউনাইটেড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আর এখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন  এই গুণী চিত্রগ্রাহক।


পেশাদার চিত্রগ্রাহক হিসেবে মাহফুজুর রহমান খান ১৯৭২ সালে প্রথম চলচ্চিত্রে কাজ করেন। তিনি আলমগীর কবির, আলমগীর কুমকুম, হুমায়ুন আহমেদ, শিবলি সাদিকদের মত কিংবদন্তি চলচ্চিত্র পরিচালকদের সাথে কাজ করেন। বিশেষ করে হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত প্রায় সব চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রাহক ছিলেন।

তার চিত্রগ্রহনে ছবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য -  আমার জন্মভূমি, অভিযান, মহানায়ক, চাঁপা ডাঙ্গার বউ, ঢাকা ৮৬, অন্তরে অন্তরে, পোকা মাকড়ের ঘর বসতি, আনন্দ অশ্রু, শ্রাবণ মেঘের দিন, দুই দুয়ারী, চন্দ্রকথা, নন্দিত নরকে, হাজার বছর ধরে, বৃত্তের বাইরে, ঘেটুপুত্র কমলা।

তার স্বজনরা জানান, পুরান ঢাকার চকবাজারের শাহী মসজিদে শুক্রবার তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে আজিমপুর গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

বিনোদন বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর