ঢাকা, ১৩ সেপ্টেম্বর শনিবার, ২০২৫ || ২৮ ভাদ্র ১৪৩২
good-food
৭২৪

ফের ইনিংস ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:৩৩ ১২ মার্চ ২০১৯  

দুই বাঁহাতি পেসার নিল ওয়াগনার ট্রেন্ট বোল্টের বোলিং তোপে নিউজিল্যান্ডের কাছে ওয়েলিংটন টেস্ট ইনিংস ১২ রানের ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ। পঞ্চম শেষ দিনের মধ্যাহ্ন-বিরতির আগেই ম্যাচ হারল টাইগাররা। বৃষ্টির কারণে প্রথম দুই দিন ভেস্তে যাওয়ার পর পরের আড়াই দিনেই টেস্ট হারল সফরকারীরা। এসময়ে ২০১. ওভার লড়াই করেছে দুই দল।

দ্বিতীয় টেস্ট জিতে তিন ম্যাচের সিরিজ জয়ও নিশ্চিত করল স্বাগতিকরা। সিরিজ জয় নিশ্চিত করে - ব্যবধানে এগিয়ে থাকল কেন উইলিয়ামসন বাহিনী। হ্যামিল্টনে সিরিজের প্রথম টেস্ট ইনিংস ৫২ রানে জিতেছিল তারা। নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে নিয়ে ৪০বার এবং নিউজিল্যান্ডের কাছে সপ্তমবারের মতো ইনিংস ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ।

২২১ রানে পিছিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে চতুর্থ দিন শেষে উইকেটে ৮০ রান করেছিল বাংলাদেশ। ইনিংস হার এড়াতে উইকেট হাতে নিয়ে পঞ্চম শেষ দিন আরও ১৪১ রান করতে হতো। মোহাম্মদ মিথুন ২৫ সৌম্য সরকার ১২ রান নিয়ে দিন শেষ করেছিলেন। আগের দিন সাদমান ইসলাম ২৯, মুমিনুল হক ১০ তামিম ইকবাল রান করে আউট হন।

পঞ্চম দিনের শুরুটা ভালোই ছিল দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান মিথুন সৌম্যর। দেখেশুনেই খেলছিলেন তারা। উইকেট ধরে রাখাই প্রধান লক্ষ্য ছিল। কিন্তু দিনের ১০ম ওভারে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান এ জুটি। সৌম্যকে ২৮ রানে থামিয়ে দেন বোল্ট। তার ৫৭ বলের ইনিংসে ৫টি চার ছিল। ৫৫ রানে উইকেট হারানোর পর আগের দিন জুটি বেঁধেছিলেন মিথুন-সৌম্য। জুটিতে ৫৭ রান যোগ করতে সক্ষম হন তারা।

দলীয় ১১২ রানে সৌম্য ফেরার পর ক্রিজে মিথুনের সঙ্গী হন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। প্রতিরোধ গড়ে তোলার পথেই ছিলেন তারা। তবে বেশি দূর এগোতে পারেননি এ জুটি। এবার বাংলাদেশ শিবিরে আঘাত হানেন ওয়াগনার। হাফসেঞ্চুরির দোরগোড়ায় পোঁছে ৪৭ রানে থেমে যান মিথুন। ১০৫ বল মোকাবেলা করে ৭টি চার মারেন তিনি। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে মিথুনের ৪০ রানের জুটি ছিল।

মিথুন ফিরে গিলে স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের শেষ ভরসা হিসেবে ক্রিজে আসেন লিটন দাস। প্রথম ইনিংসে ৩৩ রান করা তিনি এবার হতাশ করেন। ওয়াগনারের দ্বিতীয় শিকার হয়ে রানেই বিদায় নেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। তাতেই বাংলাদেশের ইনিস হারের পথ তৈরি হয়ে যায়।

তবুও রোবটের মতো চেষ্টা করেন মাহমুদউল্লাহ। লিটনের বিদায়ের সময় তার নামের পাশে ছিল ৩২ রান। অবস্থায় এক প্রান্ত ধরে মারমুখী মেজাজে ব্যাট করতে থাকেন তিনি। ৪৯তম বলেই হাফসেঞ্চুরির স্বাদ নেন রিয়াদ। টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৬তম হাফসেঞ্চুরি এটি।

হাফসেঞ্চুরির পরও নিজের লড়াই চালিয়ে গেছেন মাহমুদউল্লাহ। নয় নম্বরে নামা মোস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে দলের স্কোর দু পার করেন তিনি। অষ্টম উইকেটে এই দুজন দলকে উপহার দেন ৩৩ রান। এর মধ্যে ২২ বলে ১৬ রান আসে ফিজের ব্যাট থেকে। ছক্কায় ইনিংসটি সাজান তিনি।

দলীয় ২০৩ রানে মোস্তাফিজের বিদায়ের ছয় বল পর থেমে যান মাহমুদউল্লাহও। টাইগার নেতাকে আউট করেন ওয়াগনার। অধিনায়কের বিদায়ের এক বল পরই নিজেদের ইনিংসের ইতি টানে বাংলাদেশ। ২০৯ রানে অলআউট হয় স্টিভ রোডসের শিষ্যরা। ১২টি চার ১টি ছক্কায় ৬৯ বলে ৬৭ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। ওয়াগনার ৪৫ রানে ৫টি বোল্ট ৫২ রানে উইকেট নেন। নিয়ে সপ্তম বাংলাদেশের বিপক্ষে তৃতীয়বারের মতো পাঁচ বা ততোধিক উইকেট নিলেন ওয়াগনার।

ম্যাচসেরা হয়েছেন নিউজিল্যান্ডের রস টেইলর। প্রথম ইনিংসে ২১২ বল মোকাবেলা করে ১৯ চার ছক্কায় ২০০ রান করেছিলেন তিনি। ৬ উইকেটে ৪৩২ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে নিউজিল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করেছিল ২১১ রান।

আগামী ১৬ মার্চ থেকে ক্রাইস্টচার্চে শুরু হবে সিরিজের তৃতীয় শেষ টেস্ট।

খেলাধুলা বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর