ঢাকা, ১০ সেপ্টেম্বর বুধবার, ২০২৫ || ২৫ ভাদ্র ১৪৩২
good-food
৪৫৫

‘মারমুখী’ মুশফিক

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:০৮ ১৪ ডিসেম্বর ২০২০  

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের এলিমিনেটর ম্যাচে সতীর্থ নাসুম আহমেদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছেন বেক্সিমকো ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে খেলা চলাকালীন মেজাজ হারিয়ে নাসুমের ওপর চড়াও হয়েছিলেন মুশফিক।

 

সতীর্থের সঙ্গে এমন আচরণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিস্টার ডিপেন্ডেবলকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নাসুমের সঙ্গে বিবাদের ব্যাপারে মুশফিক বলেন, সবকিছু ঠিক আছে। জয়ের মধ্যে থাকলেও ব্যক্তি ও দল হিসেবে আমাদের উন্নতির জায়গা আছে আরও। আগামীকাল আরেকটি ম্যাচ আছে, আশা করি জিতব, দেখা যাক। দল হিসেবে খেলতে পারব।

 

ক্যাচ নেয়ার সময় নাসুমের সঙ্গে প্রায় সংঘর্ষ হতে চলেছিল মুশফিকের। ম্যাচে দু’বার তার ওপর চড়াও হয়েছিলেন তিনি। বরিশালের ব্যাটিং ইনিংসের ১৩তম ওভারে নাসুমের করা দ্বিতীয় বলে ছক্কা মারেন প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যান আফিফ হোসেন। এতে তার উপর রাগ দেখান মুশি।

 

পরের ডেলিভারিতে রানআউটের সহজ সুযোগ নষ্ট করেন নাসুম। মিড উইকেট থেকে দৌঁড়ে বল মেরেছিলেন মুশফিক। কিন্তু সেটি রানআউট করতে ব্যর্থ হন স্পিনার। ফলে জীবন পান আফিফ। টেলিভিশনের পর্দায় দেখা গেছে নাসুমের মুখমন্ডলে ঘুষি মারার ভঙ্গি করেছিলেন মুশফিক। যা সবাইকে অবাক করে।

 

আফিফের উইকেটটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল ঢাকার কাছে। কারণ বরিশালের জয়ের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন তিনি। ব্যক্তিগত ৫৫ রানে তার আউটের পরও মুশফিকের উদযাপনে রুক্ষতা লক্ষ্য করা যায়।

 

ইনিংসের ১৭তম ওভারের শেষ বলে স্কুপ শট খেলেছিলেন আফিফ। বোলার ছিলেন বাঁ-হাতি পেসার শফিকুল ইসলাম। তার শটটি ভালোভাবে ব্যাট-বলে না হওয়ায় বাতাসে উঠে যায়। শর্ট থার্ড ম্যানে থাকা নাসুমের জন্য ক্যাচটা সহজই হওয়ার কথা ছিল। বল ধরতে এগিয়ে আসেন তিনি। ক্যাচ ধরার ইচ্ছা প্রকাশ করেন মুশফিকও। পরে তিনিই ক্যাচটি ধরেন। এতে আউট হন আফিফ। কিন্তু তার আউটের উদযাপন না করে উল্টো নাসুমের ওপর চড়াও হন ঢাকার ক্যাপ্টেন। হাত নেড়ে মারার ভঙ্গি করেন তিনি।

 

ম্যাচ শেষে নাসুমের সঙ্গে মুশফিককে আনন্দের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেচে। তবে তার বিব্রতকর আচরণ সবার কাছে অবাক করেছে।

খেলাধুলা বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর