সাক্ষাৎকারে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান সম্পর্কে যা জানা গেল
লাইফ টিভি 24
প্রকাশিত: ২২:২৩ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১

মিয়ানমারের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি জেনারেল মিন অং লাইং-এর সাক্ষাৎকার পাওয়া খুব কঠিন। বিখ্যাত সাংবাদিক জোনাহ ফিশার ২০১৫ সালে তার একটি বিরল বক্তব্য নিয়েছিলেন।
তিনি জানাচ্ছেন, সেই ভাষ্য চেয়ে প্রথম চিঠি পাঠানোর পর জবাব এসেছিল এক মাস পর। এরপর গভীর রাতে নেপিডোর জনশূন্য রাস্তায়, কফি শপে বা কার পার্কে এক রহস্যময় ব্যক্তির সাথে সাক্ষাৎ, ইউএসবি স্টিক হস্তান্তর - এরকম বিচিত্র সব ঘটনার পর ওই সাক্ষাৎকার মিলেছিল।
ফিশার লিখেছেন, একেক সময় মনে হচ্ছিল যেন আমি একজন মাদক বিক্রেতা।
সেই বিবৃতির জন্য তার সাথে জেনারেলের কোনও ই-মেইল বিনিময় হয়নি। সেই রহস্যময় লোকটির ফোন নম্বর বা এমনকি তার পদবী কি - তাও কখনো তিনি জানতে পারেননি।
আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের লোক
তবুও মুখোমুখি সাক্ষাতে মিন অং লাইংকে একজন আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের লোক বলেই মনে হয়েছিল ফিশারের। 'জনগণের সাথে সরাসরি যোগাযোগ রাখার জন্য' তখন তার একটি ফেসবুক পাতাও ছিল। যেটির দেখাশোনা করতেনিউনার সহযোগীরা।
তবে সেই সাক্ষাৎকারে তিনি হাসিমাখা মুখেই যে বার্তা দিয়েছিলেন - তা ছিল স্পষ্ট ও কঠোর। মিয়ানমারের রাজনীতির ওপর সামরিক বাহিনীর শক্ত নিয়ন্ত্রণ শিগগির কমানোর কোনও ইচ্ছা যে তার নেই - তা পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছিলেন।
মিয়ানমারে সক্রিয় বহু জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সাথে যুদ্ধবিরতি বা শান্তি চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত জনগণকে অপেক্ষা করতে হবে, বলেছিলেন লাইং। তিনি জানান, এটা পাঁচ বা ১০ বছরও লাগতে পারে - আমি ঠিক বলতে পারছি না।
লাইং কি প্রেসিডেন্ট হতে চান?
তিনি কি মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট হতে চান? প্রশ্ন করেছিলেন ফিশার।
যদি জনগণ আমাকে এ দায়িত্ব পালন করতে বলেন, তখন আমি সিদ্ধান্ত নেবো - জবাব দিয়েছিলেন জেনারেল।
লাইং-এর বয়স এখন ৬৪। সামরিক বাহিনীর প্রধানের পদ থেকে তার অবসরে যাওয়ার কথা ছিল ২০১৬ সালে। কিন্তু তিনি সেই মেয়াদ আরো পাঁচ বছর বাড়িয়ে নিয়েছেন। উনার এ পদক্ষেপ অনেককে অবাক করেছিল।
গড়পড়তা মানের ক্যাডেট থেকে সেনাপ্রধান
সৈনিক জীবনের শুরুতে একজন ক্যাডেট হিসেবে লাইং চোখে পড়ার মতো কেউ ছিলেন না। ইয়াঙ্গন বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৭২ থেকে '৭৪ সাল পর্যন্ত আইন পড়েছিলেন।
তিনি ছিলেন স্বল্পভাষী এবং সাধারণত নিজেকে আড়ালে রাখতেই পছন্দ করতেন- ২০১৬ সালে তার এক সহপাঠী বলেছিলেন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে।
লাইং যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র - তখন মিয়ানমারে রাজনৈতিক তৎপরতা খুব ব্যাপক ছিল। কিন্তু তিনি এসব থেকে দূরে থাকতেন। অন্য ছাত্ররা যখন বিক্ষোভে যোগ দিচ্ছেন, তখন এ জেনারেল প্রতিবছর ডিফেন্স সার্ভিসেস একাডেমি নামে সামরিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
তিন দফা চেষ্টার পর লাইং সফল হন ১৯৭৪ সালে। তার এক সহপাঠী রয়টার্সকে বলেছিলেন, ক্যাডেট হিসেবে তিনি ছিলেন গড়পড়তা ধরনের। ওর প্রমোশন হচ্ছিল ধীরগতিতে - তবে নিয়মিতভাবে, বলেন তিনি। তবে যখন অফিসার কোরের মাঝারি স্তর ছাড়িয়ে লাইং আরো ওপরে উঠে গেলেন, তখন বেশ বিস্মিত হয়েছিলেন এ সহপাঠী।
সেই ফেসবুক পাতাটি এখন আর নেই
লাইং সামরিক বাহিনীর প্রধান হন ২০১১ সালে। ঠিক সেসময়টায় যখন গণতন্ত্রের পথে মিয়ানমারের যাত্রা শুরু হয়েছিল। ইয়াঙ্গনের কূটনীতিকদের উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, ২০১৬ সালে যখন অং সান সুচির দল প্রথমবার ক্ষমতায় আসে, তখন লাইং একজন স্বল্পভাষী সৈনিক থেকে নিজেকে একজন রাজনীতিবিদ এবং পরিচিত ব্যক্তিত্বে পরিণত করেন।
লাইংয়ের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড, সম্মানিত অতিথিদের সাথে সাক্ষাৎ, বৌদ্ধ আশ্রমে সফর - ইত্যাদি ফলাও করে প্রচার হতো ফেসবুক পাতায়। তার ফলোয়ারের সংখ্যা ছিল কয়েক লক্ষ। কিন্তু ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনীর অভিযান শুরু হলে সেই পাতাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ওই অভিযানের ফলে সাত লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। জাতিসংঘের তদন্তকারীরা ওই অভিযানের সময় গণহত্যা, গণধর্ষণ, ব্যাপক অগ্নিসংযোগ ঘটেছে বলে অভিযোগ আনেন। লাইংসহ চারজন সামরিক নেতার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
কূটনীতিক ও পর্যবেক্ষকরা রয়টার্সকে বলেছেন, জেনারেল লাইং বিভিন্ন দেশে সংঘটিত রাজনৈতিক পটপরিবর্তনকে পর্যবেক্ষণ করেছেন। লিবিয়া বা অন্য কিছু মধ্যপ্রাচ্যের দেশের মতো পরিস্থিতি যেন মিয়ানমারে না হয়, সেই প্রয়োজনীয়তার ওপর তিনি গুরুত্ব দিতেন।
মিয়ানমারের পার্লামেন্টে সেনাবাহিনীর ২৫ শতাংশ আসন এবং সুচির প্রেসিডেন্ট হওয়ার ওপর সাংবিধানিক নিষেধাজ্ঞা- এগুলো পরিবর্তন করার কোনও ইচ্ছা তার আছে - এমন কোনও ইঙ্গিত কখনো দেননি লাইং।
- ইরানকে চুক্তির আহ্বান ট্রাম্পের, নইলে আরও ‘ভয়াবহ হামলার’ হুমকি
- সাকিবই বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা: তামিম
- ভারতীয় বিমানে কী ঘটেছিল, জানালেন বেঁচে যাওয়া একমাত্র যাত্রী
- ফুসফুস পরিষ্কার রাখে যে ৫ প্রাকৃতিক উপাদান
- ড. ইউনূস-তারেক রহমান বৈঠক: যেসব আলোচনা হলো
- অবশেষে অনুদানের টাকা ফেরত দিলেন শাকিব খান
- বিশ্বের যত ভয়াবহ উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা
- ভারতে বিমান বিধ্বস্ত, বাকরুদ্ধ বলিউড তারকারা
- ওয়ানডেতে বাংলাদেশের নতুন অধিনায়ক মিরাজ
- দরকার সচেতনতা ও পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
করোনা আবারও... - করোনার নতুন ধরন সম্পর্কে যা জানা জরুরি
- ফের বাড়ছে করোনা, মাস্ক ব্যবহারের ৬ নিয়ম
- আওয়ামী লীগকে কি রাজনৈতিক দল বলা যায়, প্রশ্ন ড. ইউনূসের
- ভারতে বিমান দুর্ঘটনা: অলৌকিকভাবে বেঁচে ফিরলেন এক যাত্রী
- দিনে কতটুকু গরু-খাসির মাংস খাওয়া নিরাপদ
- ঈদের দিনসহ পরের ২ দিন আবহাওয়া যেমন থাকবে
- কাঠবাদাম না আখরোট- কোনটি বেশি উপকারী
- ফ্যাটি লিভার হলে মুখে যেসব লক্ষণ দেখা দেয়
- ঈদে খাবারের বিষয়ে যেভাবে সতর্ক থাকবেন
- ঈদের কোরমা: শাহী স্বাদে গরুর মাংসের ঐতিহ্যবাহী রেসিপি
- খালেদা জিয়ার হাতে গুলশানের বাড়ির কাগজ তুলে দিলেন গণপূর্ত উপদেষ্টা
- ঈদযাত্রায় নিরাপদ থাকতে বিষয়গুলো খেয়াল রাখুন
- শাকিব-নিশোর কাঁধে কাঁধ, জয় বললেন ‘ব্যবসায়ীদের হাতের পুতুল’
- দারুণ জয়ে অভিষেক রাঙালেন হামজা-ফাহমিদুল
- বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল হয়নি
- ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ফল প্রকাশ: উত্তীর্ণ ৬০ হাজার ৫২১ প্রার্থী
- যেসব টিপস মানলে বন্ধ হবে চুল পড়া
- ঈদে মুক্তির অপেক্ষায় ‘তাণ্ডব’, ‘ইনসাফ’সহ ৭ সিনেমা
- আর্জেন্টিনা দলে যোগ দিয়ে মেসি বললেন, ‘ঘরে ফিরলাম’
- যেসব পণ্যের দাম কমলো ও বাড়লো
- করোনার নতুন ধরন সম্পর্কে যা জানা জরুরি
- দরকার সচেতনতা ও পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
করোনা আবারও... - ফের বাড়ছে করোনা, মাস্ক ব্যবহারের ৬ নিয়ম
- আওয়ামী লীগকে কি রাজনৈতিক দল বলা যায়, প্রশ্ন ড. ইউনূসের
- ভারতে বিমান দুর্ঘটনা: অলৌকিকভাবে বেঁচে ফিরলেন এক যাত্রী
- ভারতে বিমান বিধ্বস্ত, বাকরুদ্ধ বলিউড তারকারা
- ড. ইউনূস-তারেক রহমান বৈঠক: যেসব আলোচনা হলো
- ওয়ানডেতে বাংলাদেশের নতুন অধিনায়ক মিরাজ
- ভারতীয় বিমানে কী ঘটেছিল, জানালেন বেঁচে যাওয়া একমাত্র যাত্রী
- সাকিবই বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা: তামিম
- বিশ্বের যত ভয়াবহ উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা
- অবশেষে অনুদানের টাকা ফেরত দিলেন শাকিব খান
- ফুসফুস পরিষ্কার রাখে যে ৫ প্রাকৃতিক উপাদান
- ইরানকে চুক্তির আহ্বান ট্রাম্পের, নইলে আরও ‘ভয়াবহ হামলার’ হুমকি