ঢাকা, ১০ নভেম্বর সোমবার, ২০২৫ || ২৫ কার্তিক ১৪৩২
good-food
৩৩

মোবাইলে ছবি এডিটের সেরা অ্যাপ যেগুলো

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:১৮ ৯ নভেম্বর ২০২৫  

হাতে থাকা স্মার্টফোনটিই এখন শখের ক্যামেরা থেকে শুরু করে কনটেন্ট তৈরির মূল ক্যানভাস। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওয়ালে নজরকাড়া ছবি পোস্ট করার আগ্রহ থেকেই বাড়ছে ভালো মানের ফটো এডিটিং অ্যাপের চাহিদা। তবে ছবির মান বাড়াতে এখন আর কম্পিউটার বা দামি সফটওয়্যারের ওপর নির্ভর করতে হয় না। আপনার হাতের মুঠোতেই রয়েছে স্টুডিওর মতো সম্পাদনার সুযোগ, তাও একেবারে বিনামূল্যে। গুগল প্লে স্টোর ও অ্যাপলের অ্যাপস্টোরে থাকা সেরা পাঁচটি অ্যাপের কথা জেনে নিন, যা আপনার যেকোনো সাধারণ ছবিকে দেবে পেশাদার ও শৈল্পিক রূপ। 

স্ন্যাপসিড  

গুগলের তৈরি এই শক্তিশালী অ্যাপটি পেশাদার থেকে শুরু করে নতুন ব্যবহারকারী, সবার জন্যই একটি আদর্শ টুলবক্স। এর ২৯টি টুল ও ফিল্টারের সম্ভার ছবি সম্পাদনাকে নিয়ে গেছে নতুন উচ্চতায়। এর 'হিলিং' টুল দিয়ে ছবির যেকোনো অপ্রয়োজনীয় বস্তু নিখুঁতভাবে মুছে ফেলা যায়। নির্বাচিত অংশে আলো ও রঙের সূক্ষ্মปรับ করতে ব্রাশ টুলের জুড়ি নেই।

'সিলেক্টিভ' টুলের কন্ট্রোল পয়েন্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করে ছবির নির্দিষ্ট একটি বিন্দুতে আলো, কনট্রাস্ট বা স্যাচুরেশন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এছাড়া ছবির আলো-অন্ধকারের ভারসাম্য ঠিক করতে 'কার্ভস', কোণ বা আকৃতি ঠিক করতে 'পারসপেক্টিভ' এবং ছবির ক্যানভাস বড় করতে 'এক্সপ্যান্ড' টুলের মতো পেশাদার ফিচারও রয়েছে। এটি ছবির মূল (র) ফাইল ফরম্যাট সমর্থন করে, ফলে সম্পাদনার সময় ছবির গুণগত মান থাকে অটুট। 

অ্যাডোবি লাইটরুম মোবাইল

ডেস্কটপের জনপ্রিয় সফটওয়্যার অ্যাডোবি লাইটরুমের মোবাইল সংস্করণটি ছবি সম্পাদনার জন্য এক কথায় অসাধারণ। এর বেশিরভাগ শক্তিশালী টুলই বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়। আলো, ছায়া, কনট্রাস্ট, হাইলাইট ও হোয়াইট ব্যালান্সের মতো বিষয়গুলো সূক্ষ্মভাবে নিয়ন্ত্রণ করে ছবিতে আনা যায় নাটকীয় পরিবর্তন। এর 'কালার মিক্সচার' ও 'কালার গ্রেডিং' টুল ব্যবহার করে রঙের গভীরতা ও ভারসাম্য নির্ধারণ করা যায়, যা ছবিতে একটি সিনেম্যাটিক আবহ তৈরি করে। এছাড়াও রয়েছে পেশাদার মানের অসংখ্য প্রিসেট, যা এক ক্লিকেই আপনার ছবির চেহারা পাল্টে দিতে পারে। এর সহজবোধ্য ইন্টারফেসের কারণে যে কেউ দ্রুত অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারে। 

পিকসআর্ট

শুধু ছবি সম্পাদনা নয়, কোলাজ তৈরি এবং ডিজিটাল ড্রয়িংয়ের এক দারুণ সমন্বয় এই পিকসআর্ট। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জন্য সৃজনশীল কনটেন্ট তৈরিতে এর জুড়ি মেলা ভার। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর টুল ব্যবহার করে এক ক্লিকে ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন বা অপসারণ করা যায়। অ্যাপটিতে রয়েছে হাজারো ফিল্টার, শৈল্পিক ইফেক্ট, কাস্টমাইজযোগ্য স্টিকার এবং আকর্ষণীয় ফন্টে লেখা যুক্ত করার সুবিধা। একাধিক ছবি মিলিয়ে দৃষ্টিনন্দন কোলাজ তৈরির জন্য এতে রয়েছে অসংখ্য লেআউট। সৃজনশীলতার নতুন দুয়ার খুলে দিতে পারে এই অ্যাপ। 

পিক্সলার  

যারা দ্রুত সম্পাদনা ও জটিল ডিজাইন—দুটিই এক অ্যাপে করতে চান, তাদের জন্য পিক্সলার একটি চমৎকার সমাধান। এর দুটি সংস্করণ রয়েছে—দ্রুত সম্পাদনার জন্য 'পিক্সলার এক্স' এবং ফটোশপের মতো বিস্তারিত কাজের জন্য 'পিক্সলার ই'। এতে লেয়ারভিত্তিক সম্পাদনার সুবিধা থাকায় জটিল গ্রাফিক ডিজাইন তৈরি করাও সম্ভব। সাধারণ ক্রপ, রিসাইজ, রং ও আলোর নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ডিসপারশন, বোকেহ ও গ্লিচের মতো শৈল্পিক ইফেক্ট দিয়ে ছবিতে আনা যায় অনন্য মাত্রা। এর এআই-ভিত্তিক ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভাল টুলটিও বেশ কার্যকর। 

অ্যাডোবি ফটোশপ এক্সপ্রেস

ফটোশপের নাম শোনেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। এর মোবাইল সংস্করণ ‘ফটোশপ এক্সপ্রেস’ তৈরি করা হয়েছে দ্রুত ও কার্যকর সম্পাদনার জন্য। সাধারণ সম্পাদনার টুলগুলোর পাশাপাশি এতে রয়েছে এক ক্লিকে ছবির দাগ বা অপ্রয়োজনীয় অংশ মুছে ফেলার সুবিধা। ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড বদলানো, অ্যাঙ্গেল সোজা করা এবং আলোর ভারসাম্য ঠিক করার মতো কাজগুলো করা যায় নিমিষেই। এর 'লুকস' নামক ফিল্টার গ্যালারি থেকে এক ক্লিকেই ছবির মুড বদলে ফেলা সম্ভব। এছাড়া নানা ধরনের গ্রিড ও বর্ডার স্টাইল ব্যবহার করে আকর্ষণীয় কোলাজও তৈরি করা যায় এই অ্যাপে।