ঢাকা, ১২ ডিসেম্বর শুক্রবার, ২০২৫ || ২৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২
good-food
১৯

দাপুটে জয়ে শুরু ভারত-পাকিস্তানের, বৈভবের ছক্কার রেকর্ড

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:১৯ ১২ ডিসেম্বর ২০২৫  

দাপুটে জয় দিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ অভিযান শুরু ভারত ও পাকিস্তান। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী দিনে নিজ নিজ ম্যাচ দুইশ উর্ধ্ব রান ব্যবধানে জয় পেয়েছে এই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। 

প্রথম ম্যাচে দুবাইয়ে ভারত ২৩৪ রানে হারিয়েছে স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাতকে। পাকিস্তান ২৯৭ রানে হারিয়েছে মালয়েশিয়াকে। 

আইসিসি একাডেমি মাঠে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারত বৈভব সূর্যবংশীর ঝড়ো সেঞ্চুরিতে গড়ে রানের পাহাড়। ৬ উইকেটে করে ৪৩৩ রান। 

ইনিংসের তৃতীয় ওভারে অধিনায়ক ও ওপেনার আয়ুশ মাত্রে (৪) ফিরলেও থামেনি রানের চাকা। দ্বিতীয় উইকেটে বৈভব ও অ্যারন জর্জ করেন ২১২ রানের জুটি। 

উদ্দিশ সুরির বলে বোল্ড হওয়া ১৪ বছর বয়সী বৈভব ৯৫ বলে করেন ১৭১ রান। এই বাঁহাতি ওপেনারের ইনিংসে ছিল ৯ চার ও ১৪ ছক্কা। 

বৈভবের ফিফটি করতে লেগেছে ৩০ বল। পরের ২৬ বলে করেন সেঞ্চুরি। পুরো ইনিংসে ১৪ ছক্কা মেরে নতুন কীর্তি গড়েছেন তিনি। যুবাদের ওয়ানডেতে এক ইনিংসে এটিই সর্বোচ্চ ছক্কা মারার রেকর্ড। 

আরও পড়ুন: ৫৬ বলে সেঞ্চুরির পর ১৭১ রানে থামলেন সূর্যবংশী

এর আগে এই কীর্তি ছিল অস্ট্রেলিয়ার মাইকেল হিলের। ২০০৮ সালে নামিবিয়ার বিপক্ষে ১২ ছক্কা মেরেছিলেন তিনি। 

বৈভবের ১৭১ রানের ইনিংসটি ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০০২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৭৭ রান করেছিলেন ভারত জাতীয় দলের সাবেক ব্যাটার আম্বাতি রাইড়ু।

আমিরাতের বিপক্ষে বৈভব ছাড়াও ভারতকে রানের পাহাড় গড়তে অবদান রাখেন অ্যারন ও ভিহান মালহোত্রা। দুজনই করেন সমান ৬৯ রান। 

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আমিরাত করতে পারে ৭ উইকেটে ১৯৯ রান। সর্বোচ্চ রান করেন সুরি। ৭৮ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ৫০ রান আসে পৃথ্বি মাধু। 

ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে পাকিস্তানের মিনহাস।

সেভেনস স্টেডিয়ামে টসে হেরে দুই সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানও গড়ে রানের পাহাড়। ইনিংসের দ্বিতীয় ওপেনার উসমান খান (১) ফিরলেও ৩ উইকেটে ৩৪৫ রান করে তারা। 

তৃতীয় উইকেটে ২৯৩ রানের জুটি গড়েন ওপেনার সামির মিনহাস ও আহমেদ হুসাইন। দুজনই উদযাপন করেন সেঞ্চুরি। 

মিনহাস ১৪৮ বলে খেলেন অপরাজিত ১৭৭ রানের ইনিংস। ১১৪ বলে ১৩২ রান করেন হুসাইন। 

বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মালয়েশিয়া গুটিয়ে যায় মাত্র ৪৮ রানে। খেলতে পারে মাত্র ১১৮ বল। মালয়েশিয়ার কেউ দুই অঙ্কের রান ছুঁতে পারেননি। 

পাকিস্তানের হয়ে সমান তিনটি করে উইকেট নেন আলি রাজা ও মোহাম্মদ সাইম। দানিয়েল আলি খান নেন দুই উইকেট। 

খেলাধুলা বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর