ঢাকা, ০৭ নভেম্বর শুক্রবার, ২০২৫ || ২২ কার্তিক ১৪৩২
good-food
৭৬৭

বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলে জেঁকে বসছে শীত

রিপন দাস, বগুড়াঃ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৮:৫১ ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯  

বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে শীতের প্রকোপ বাড়ছে। তবে আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, আগামী ২২ ডিসেম্বর থেকে কিছুটা তাপমাত্রা বাড়তে পারে। বগুড়ায় আজকের সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৫ ডিগ্রী সেলসিয়ায়। তবে দুপুর ১২ টায় তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে। এদিকে ঈশ্বরদিতে তাপমাত্রা রয়েছে ৮.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস ও পঞ্চগড়ে ১০.৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এ তাপমাত্রা আগামী ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অব্যহত থাকবে।

বগুড়ার সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোঃ সজিব হোসাইন জানান, দেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে আগামী ২১ তারিখ পর্যন্ত আবহাওয়া অপরিবর্তিত থাকবে। তবে এর পরে তাপমাত্রা বাড়লেও ডিসেম্বরের শেষের দিকে তাপমাত্রা আরো কমতে পারে। হালকা বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান এই আবহাওয়াবিদ।
বগুড়ার হাসপাতাল বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মোঃ শফিক আমিন কাজল জানান, প্রায় প্রতিদিনই শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আজ (বৃহস্পতিবার) ৩২ জন শিশু ভর্তি হয়েছে শুধুমাত্র শীতজনিত রোগের কারণে।   

এদিকে দোকানগুলোতে শীতের কাপড় কিনতে ভীড় করছেন সব ধরণের শ্রেনী ও পেশার মানুষ। শহরের বিভিন্ন সড়কে বসা দোকানগুলোতে বিকালের পর থেকেই কেনাকাটা শুরু হয়। বিশেষ করে স্বল্প আয়ের মানুষগুলো বেশি ভীড় করছেন এসব দোকানে। শহরের অন্যান্য মার্কেটগুলোতেও শীতের পোষাকের কেনাকাটা বেশ বেড়ে গেছে।

সাতমাথায় বসা দোকানী মোঃ আরিফ জানান, এবার শীত দেরিতে আসলেও কেনাকাটা শুরু হয়েছে প্রায় এক মাস আগে। প্রতিদিন সব দোকানেই শীতের কাপর বিক্রি হচ্ছে অনেক। তবে শীত আরো বাড়লে গরম কাপরের চাহিদা বেড়ে যাবে আরো বেশি বললেন, মোঃ আরিফ।  

তবে এ রকম তাপমাত্রায় ফসলে তেমন ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই বলছেন কৃষি কর্মকর্তারা। আগামীতে যদি তাপমাত্রা আরও কমে যায় তাহলে বীজতলাসহ আলুতে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

নীলফামারীর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নিখিল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, বর্তমানে যে কুয়াশা রয়েছে তাতে ফসলে তেমন ক্ষতি হবে না। তবে কুয়াশা বেড়ে গেলে আলুতে ক্ষতি হতে পারে। বীততলায় শীতজনিত রোগ (কোল্ড ইনজুরি) ও আলুতে নাভিধশা রোগ এর প্রকোপ দেখা পারে। এ ছাড়াও সরিষা, টমেটো, মরিচ ও পেঁয়াজ এর মত অন্যান্য সবজিসহ নানা ধরণের ফসলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ দিকে, কৃষকদেরকে ফসলের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষার জন্য কৃষি কর্মকর্তাদের থেকে পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে।