ঢাকা, ০৬ মে মঙ্গলবার, ২০২৫ || ২২ বৈশাখ ১৪৩২
good-food
৩০৪

বিশ্বকাপে ব্যাটিং অর্ডারে এত পরিবর্তনের কারণ জানেন না শান্ত

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০২:৫৭ ১৪ অক্টোবর ২০২৩  

বিশ্বকাপের মতো মঞ্চেও ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন করেই যাচ্ছে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত খেলা ৩ ম্যাচেই বেশিরভাগ ব্যাটারের নিয়মিত পজিশনে রদবদল হয়েছে। ফলে নিজেদের পছন্দের স্থানে খেলতে পাচ্ছেন না তারা। যার প্রভাব পড়েছে তাদের পারফরম্যান্সে। 

 

বিশ্বমঞ্চে ব্যাটিং অর্ডারের এত বদলের ব্যাখ্যা দিতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টা জানতে চাওয়া হয়েছিল তার কাছে। জবাবে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এবং কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের কোর্টে বল ঠেলে দিয়েছেন তিনি।

 

শান্ত বলেন, এ নিয়ে কোচ- অধিনায়ক ভালো বলতে পারবেন। আমরা যারা ব্যাটিং করি, তারা সবাই প্রতি ম্যাচের আগে থেকেই জানি কে কখন নামবে। কিন্তু এর পেছনের কারণ শুধু অধিনায়ক-কোচই পরিষ্কার করে বলতে পারবেন।

 

এমন পরিবর্তনে ব্যাটারদের নতুন পজিশনে মানিয়ে নিতে সমস্যা হচ্ছে কি না? জবাবে তিনি বলেন, সত্যি বলতে কী একটু মানিয়ে নিতে হয়। আমার মনে হয়, এখানে সবার সেই ফ্লেক্সিবিলিটি থাকা দরকার। যে কাউকে যেকোনও জায়গায় ব্যাটিং করার অভ্যাস প্রয়োজন।

 

বাঁহাতি ব্যাটার বলেন, এটা হঠাৎ করেই হয়, তা নয়। সব ব্যাটার সেটা জানে। এ নিয়ে চিন্তা করার খুব প্রয়োজন নেই। অধিনায়ক ও কোচ যেভাবে সিদ্ধান্ত নেন, আমরা সেভাবে ব্যাটিং করার চেষ্টা করি।

 

গত ২ বছর ধরে তিন নম্বরের জন্য শান্তকে প্রস্তুত করছে বাংলাদেশ। শুরুর দিকে ভালো না করলেও সাম্প্রতিক সময়ে দলের ব্যাটিংয়ের নির্ভরতার প্রতীক হয়ে উঠেছেন তিনি। বিশেষ করে ২০২৩ সালে সেরা ছন্দে আছেন বাঁহাতি ব্যাটার। নিজের ক্যারিয়ারের ৯৭৪ রানের মাঝে ৭৬৩ রান করেছেন তিন নম্বরে।

 

অথচ তাকেই বিশ্বকাপের ৩ ম্যাচে খেলতে হয়েছে ভিন্ন দুই পজিশনে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডাউনে খেলেন শান্ত। আফগানিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে নামেন চার নম্বরে। রশিদ খানদের বিপক্ষে হাফসেঞ্চুরি করলেও কিউইদের বিপক্ষে ব্যর্থ তিনি।

 

সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন তাওহীদ হৃদয়। অভিষেকের পর ২০ ম্যাচের ১০টিতেই তিনে ব্যাটিং করেছেন তিনি। আর পাঁচ নম্বরে ১০ ইনিংসে করেছেন ৩৪৮ রান। ৯ ম্যাচে বাকি পজিশনে ব্যাটিং করে তার রান ২২২। পঞ্চম স্থানে এমন পারফর্ম করা ব্যাটারকে বিশ্বকাপে খেলতে হয়েছে ৭ নম্বরে। যেখানে ২ ম্যাচেই ব্যর্থ তিনি। 

 

ব্যাটিং পজিশনে ঠিক নেই মেহেদি হাসান মিরাজেরও। ৩ ম্যাচে নেমেছেন ২ পজিশনে। কখনও ওপেনিংয়ে তো কখনও মিডলঅর্ডারে। এতে কোনও দিন জ্বলে উঠতে পারছেন, আবার কোনও দিন ব্যর্থ হচ্ছেন। অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকেও নামতে হচ্ছে লোয়ারঅর্ডারে। যেখানে কিনা একজন বোলার ব্যাট করেন।

খেলাধুলা বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর