ঢাকা, ১৯ ডিসেম্বর শুক্রবার, ২০২৫ || ৪ পৌষ ১৪৩২
good-food
৪৫

মেসির ‘অমরত্বের’ তিন বছর

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৪:১২ ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫  

১৮ ডিসেম্বর। ফুটবলের ইতিহাসে এই তারিখটি এখন এক অমর মহাকাব্যের নাম। ঠিক তিন বছর আগে লুসাইলের তপ্ত মরুভূমিতে শেষ হয়েছিল দীর্ঘ ৩৬ বছরের হাহাকার। ফরাসি দাপট থামিয়ে বিশ্বজয় করেছিল আর্জেন্টিনা। নীল-সাদা জার্সিতে ঘুচেছিল কয়েক দশকের আক্ষেপ। মরুশহরের সেই রাতটি আজও কোটি ভক্তের হৃদয়ে অমলিন এক প্রাপ্তির গল্প।

লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামের সেই রাতটি ছিল নাটকীয়তায় ভরপুর। একপাশে কিলিয়ান এমবাপ্পের বিধ্বংসী হ্যাটট্রিক, অন্যপাশে লিওনেল মেসির জাদুকরী ছোঁয়া। লড়াইটা ছিল সমানে সমান। স্নায়ুচাপের সেই চূড়ান্ত মুহূর্তে টাইব্রেকারে শেষ হাসি হাসে আলবিসেলেস্তেরা।

গোটা বিশ্ব দেখল এক জাদুকরের রাজ্যাভিষেক। যে ট্রফিটার জন্য মেসিকে শুনতে হয়েছে হাজারো কটু কথা, সেই ট্রফিটাই শেষ পর্যন্ত তার হাতে ধরা দিল। ফুটবল যেন নিজেই ঋণমুক্ত হলো তার বরপুত্রকে পূর্ণতা দিয়ে।

অথচ এই যাত্রার শুরুটা ছিল ভীষণ হতাশায় মোড়ানো। সৌদি আরবের কাছে প্রথম ম্যাচেই হার বড় এক ধাক্কা হয়ে এসেছিল। চারদিকে তখন হাসাহাসি আর ট্রলের বন্যা। খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে সেদিন অধিনায়ক বলেছিলেন, ‘‘আমাদের ওপর বিশ্বাস রাখুন।’’ সেই বিশ্বাসের মর্যাদা মেসি রেখেছিলেন প্রতিটি ম্যাচে।

মেক্সিকো থেকে শুরু করে নেদারল্যান্ডস, সব বাধা পেরিয়ে আর্জেন্টিনা পৌঁছে গিয়েছিল স্বপ্নের চূড়ায়। পিটার ড্রুরির সেই অবিস্মরণীয় ধারাভাষ্য আজও কানে বাজে, যেখানে মেসি খুঁজে পেয়েছিলেন তার অমরত্বের ঠিকানা।

তিন বছর পেরিয়ে গেলেও সেই মুহূর্তগুলোর রেশ এতটুকু কমেনি। কোপা আমেরিকা বা ফিনালিসিমার সাফল্য আর্জেন্টিনাকে অনন্য উচ্চতায় নিলেও ১৮ ডিসেম্বরের সেই রাতটি এখনো অমলিন। এটি কেবল একটি ট্রফি জয়ের গল্প নয়, এটি ছিল বারবার পড়ে গিয়ে আবার উঠে দাঁড়ানোর গল্প। এটি ছিল একজন মানুষের ফুটবল ক্যারিয়ার পূর্ণতা পাওয়ার এক চূড়ান্ত কাব্য। লুসাইলের সেই ঘাস আর গ্যালারির গর্জন আজও মনে করিয়ে দেয়—অপেক্ষা যখন দীর্ঘ হয়, তখন প্রাপ্তিটা এমনই মধুর হয়।

খেলাধুলা বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর