ঢাকা, ০৬ অক্টোবর সোমবার, ২০২৫ || ২১ আশ্বিন ১৪৩২
good-food
২৬

আফগানদের উড়িয়ে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০১:৩৮ ৪ অক্টোবর ২০২৫  

সিরিজের প্রথম ম্যাচে উড়ন্ত জয়। দ্বিতীয়টি জিতলেই সিরিজ নিশ্চিত। এমন সমীকরণের ম্যাচে বল হাতে আফগানিস্তানকে দেড়শ’র ঘরে আটকে দিয়েছেন নাসুম-রিশাদরা। সুযোগ হাতছাড়া করেনি বাংলাদেশের ব্যাটাররাও। টপ অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতা ছাপিয়ে ফিনিশিংয়ে চমৎকার লড়াই উপহার দেন নুরুল হাসান সোহান। উইকেটকিপার এই ব্যাটারের দৃঢ়তায় আফগানদের উড়িয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ। 

 

তিন সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আফগানিস্তানকে দুই উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করল জাকের আলি অনিকের দল। শারজায় শুক্রবার রিশাদ হোসেন-নাসুম আহমেদের ঘূর্ণির সামনে পড়ে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৪৭ রানে থামে আফগানিস্তান। জবাব দিতে নেমে ১৯.১ ওভারে ১৫০ রান করে বাংলাদেশ।

 

রান তাড়ায় শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। নিজেদের ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আজমতউল্লাহর বলে বড় শট খেলতে গিয়ে মিড অনে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন তানজিদ হাসান তামিম। আগের দিনের হাফসেঞ্চুরিয়ান আজ ফেরেন ২ রানে। গতদিন শারজায় ঝড় তোলা পারভেজ ইমনও পারলেন না থিতু হতে। আজমতউল্লাহর দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন পারভেজ। যদিও এলবির আবেদন থেকে বাঁচতে রিভিউ নেন তিনি। তবে লাভ হয়নি। ৫ বলে ২ রানে শেষ হয় তার ইনিংস।

 

পঞ্চম ওভারে সাইফ হাসানকেও হারায় বাংলাদেশ। মুজিবকে জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে বিদায় নেন ১৮ রানে। পাওয়ার প্লেতে মাত্র ৩৭ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেই বিপদ সামলাতে চারে নামেন জাকের আলি। শামীমের সঙ্গে জুটি বেধে দলকে পথ দেখান অধিনায়ক। এই জুটিতে চড়েই স্বস্তি দেখে লাল-সবুজের দল। ১১তম ওভারে জাকেরকে বিদায় করে সেই স্বস্তি কেঁড়ে নেন রশিদ খান। আফগান লেগির এলবির ফাঁদে পড়ে ২৫ বলে ৩২ রান করে ফেরেন অধিনায়ক।

 

লড়াই জমিয়ে তুলে শামীম হোসেনও ফিরে যান ৩৩ রান। এরপর রশিদ এসে মাঠছাড়া করেন নাসুমকে। সব ব্যাটারদের হারিয়ে ক্রিজে শেষ আশা ছিলেন সোহান। যিনি আগের ম্যাচেও বাংলাদেশকে শেষ দিকের ক্যামিওতে জিতিয়েছেন। আজও টেলএন্ডারদের নিয়ে হতাশ করেননি সোহান। একের পর এক সতীর্থরা যখন উইকেট বিলিয়ে দিচ্ছিলেন তখন দারুণ ফিনিশিংয়ে বাংলাদেশকে জয় এনে দিলেন তিনি। ২১ বলে ৩১ রানের ইনিংসে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন এই উইকেটকিপার ব্যাটার।

 

এর আগে ২৪ ঘণ্টার কম সময়ে একই ভেন্যুতে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা বেশ ভালোই করে আফগানরা। পাওয়ারপ্লেতে করে ফেলে বিনা উইকেটে ৩৫ রান। সেদিকুল্লাহ আতাল ও ইব্রাহিম জাদরানের ব্যাটে বেশ বড় পুঁজির স্বপ্নই দেখছিল আফগানরা। তবে ইনিংসের অষ্টম ওভারে থামতে হয় তাদের। বাংলাদেশকে ব্রেকথ্রু এনে দেন রিশাদ। আফগানদের ৫৫ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙেন এই লেগি।

 

১৯ বলে ২৩ রান করে ফেরেন আতাল। স্কোরবোর্ডে ৭১ রান জমা পড়তেই নাসুম ফেরান জাদরানকে। তার সঙ্গে এক রান যোগ হতেই পরের ওভারে নিজের দ্বিতীয় শিকার হিসেবে ওয়াফিউল্লাহ তারাখিলকে (১) আউট করেন রিশাদ। জাদরান আফগানিস্তানের হয়ে ৩৭ বলে করেন সর্বোচ্চ ৩৮ রান। নাসুম নিজের দ্বিতীয় শিকার হিসেবে ফেরান দারউইশ রাসোলিকে (১৪)। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা রহমানউল্লাহ গুরবাজকে (৩০) বোল্ড করেন পেসার শরীফুল ইসলাম। এরপর অবশ্য আর উইকেট হারায়নি আফগানিস্তান।

 

দারুণ শুরুর পর হঠাৎ খেই হারিয়ে ফেলা আফগানদের লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন দুই অপরাজিত ব্যাটার আজমতউল্লাহ ওমরজাই (১৯) ও মোহাম্মদ নবী (২০)। দুজনে ষষ্ঠ উইকেটে ২২ বলে করেন ২৯ রানের নিরবিচ্ছিন্ন জুটি। এই জুটিতেই মূলত দেড়শ’র কাছাকাছি যায় আফগানরা। বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে সমান দুটি উইকেট নেন নাসুম আহমেদ ও রিশাদ হোসেন। একটি শিকার শরিফুল ইসলামের। 

খেলাধুলা বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর