আসল জামদানি শাড়ি চেনার উপায়
লাইফ টিভি 24
প্রকাশিত: ২১:৩২ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বাংলাদেশে যেসব নারী শাড়ি পছন্দ করেন, তাদের সংগ্রহে অন্তত একটি হলেও জামদানি থাকে। নান্দনিক ডিজাইন এবং দামে বেশি হওয়ার কারণে জামদানির সঙ্গে আভিজাত্য ও রুচিশীলতা-এ দুটি শব্দ জড়িয়ে আছে।
ঐতিহ্যবাহী নকশা ও বুননের কারণে ২০১৬ সালে জামদানিকে বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, আজকাল বিভিন্ন মার্কেটে জামদানির নামে বিক্রি হচ্ছে নকল শাড়ি। ফলে ঐতিহ্যবাহী শাড়ির আবেদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ক্রেতারা।
অনেক বিক্রেতা জামদানি বলে ভারতীয় কটন, টাঙ্গাইলের তাঁত, পাবনা ও রাজশাহীর সিল্ক শাড়ি ক্রেতাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। প্রশ্ন হলো, আসল জামদানি শাড়ি চেনার উপায় তা হলে কী? এক্ষেত্রে শাড়ি কেনার আগে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে নজর দেয়ার কথা জানিয়েছেন ফ্যাশন ডিজাইনার শারমিন শৈলী এবং নারায়ণগঞ্জের জামদানি বিসিক শিল্প নগরীর তাঁতি মো. মনির হোসেন।
আসল জামদানি শাড়ি চেনার উপায়:
জামদানি শাড়ি কেনার আগে তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দিতে হবে - শাড়ির দাম, সূতার মান এবং কাজের সূক্ষ্মতা। আসল জামদানি শাড়ি তাঁতিরা হাতে বুনন করেন বলে এগুলো তৈরি করা অনেক কষ্টসাধ্য ও সময়সাপেক্ষ। তাই এগুলোর দামও অন্যান্য শাড়ির তুলনায় বেশি হয়ে থাকে।
একটি জামদানি শাড়ি তৈরি করতে দুইজন কারিগর যদি প্রতিদিন ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা শ্রম দেন, তা হলে ডিজাইন ভেদে পুরো শাড়ি তৈরি হতে ৭ দিন থেকে ৬ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। সাধারণত শাড়ি তৈরির সময়, সূতার মান ও কাজের সূক্ষ্মতা বিবেচনায় একটি জামদানির দাম ৩,০০০ টাকা থেকে ১ লাখ ২০,০০০ টাকা কিংবা এর চেয়েও বেশি হতে পারে।
কিন্তু মেশিনে বোনা শাড়িতে তেমন সময় বা শ্রম দিতে হয় না। এজন্য দামও তুলনামূলক অনেক কম। জামদানি শাড়ি হাতে বোনা হওয়ায় ডিজাইন হয় খুব সূক্ষ্ম ও নিখুঁত। ডিজাইনগুলো হয় মসৃণ। কারিগর প্রতিটি সুতো হাত দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বুনন করেন। সূতার কোন অংশ বের হয়ে থাকে না। এ কারণে জামদানি শাড়ির কোনটা সামনের অংশ আর কোনটা ভেতরের অংশ, তা পার্থক্য করা বেশ কঠিন।
মেশিনে বোনা শাড়িতে কেবল জামদানির অনুকরণে হুবহু নকশা সেঁটে দেয়া হয়। এ শাড়িগুলোর উল্টো পিঠের সূতাগুলো কাটা কাটা অবস্থায় বের হয়ে থাকে। জামদানি শাড়ি চেনার আরেকটি উপায় হতে পারে এর সূতা ও মসৃণতা যাচাই করা। জামদানি শাড়ি বয়নে সুতি ও সিল্ক সূতা ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
সূতার ব্যবহারের দিক থেকে জামদানি সাধারণ তিন ধরণের হয়ে থাকে। ১. ফুল কটন জামদানি - যেটা তুলার সূতা দিয়ে তৈরি করা হয়। ২. হাফ-সিল্ক জামদানি - যেখানে আড়াআড়ি সুতাগুলো হয় রেশমের আর লম্বালম্বি সূতাগুলো হয় তুলার। ৩. ফুল-সিল্ক জামদানি - যেখানে দুই প্রান্তের সূতাই রেশমের হয়ে থাকে।
শাড়ি কেনার আগে এই সূতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া জরুরি, কেননা নকল জামদানি শাড়ি সিল্কের পরিবর্তে পলেস্টার বা নাইলনের মতো কৃত্রিম সূতা ব্যবহার করে থাকে। সূতার মান যাচাই করতে শাড়ির আঁচলের শেষ প্রান্তে যে কিছু সুতা বের হয়ে থাকে, সেগুলো মনোযোগ দিয়ে দেখতে হবে।
নাইলনের সূতা মসৃণ হয়, আর জামদানির সিল্ক সূতায় মাড় দেয়া থাকায় সেটা হবে অপেক্ষাকৃত অমসৃণ। সাধারণ পিওর সিল্কের সূতা টানাটানি করলে ছিঁড়ে যায় এবং এই সূতা আগুনে পোড়ালে চুলের মতো পোড়া গন্ধ বেরোয়।
আঁচলের শেষ প্রান্তের সূতাগুলো আঙ্গুল দিয়ে মোড়ানোর পর যদি সুতাগুলো জড়িয়ে যায়, তবে সেটা সিল্ক সূতার তৈরি আর যদি সূতাগুলো যেকোনো অবস্থায় সমান থাকে, তবে তা নাইলন। এছাড়া কাউন্ট দিয়ে সূতার মান বোঝানো হয়। যে সুতার কাউন্ট যত বেশি, সেই সুতা তত চিকন। আর সূতা যতো চিকন, কাজ ততই সূক্ষ্ম হবে - যা ভালো মানের জামদানি শাড়ির প্রধান বৈশিষ্ট্য।
জামদানি শাড়ির সূতাগুলো সাধারণত ৩২-২৫০ কাউন্টের হয়ে থাকে। জামদানির মান মূলত কাজের এ সূক্ষ্মতার উপর নির্ভর করে। আর শাড়ি কতোটা সূক্ষ্ম হবে, তা নির্ভর করে এ সূতা এবং তাঁতির দক্ষতার উপর। সাধারণত যে শাড়িটা কাজ যত সূক্ষ্ম, স্বাভাবিকভাবেই এর দামও তত বেশি হয়ে থাকে। আবার সুতা যত চিকন, শাড়ি বুনতে সময়ও লাগে তত বেশি - কাজেই দামও বেশি পড়ে।
অন্যদিকে মেশিনে বোনা শাড়ির সুতা ২৪-৪০ কাউন্টের হয়ে থাকে। তবে মেশিনে বোনা শাড়িগুলোর বুনন অনেক ঘন হয়। তাঁতে আর যাই হোক মেশিনের মতো ঘন বুনন দেয়া সম্ভব না। জামদানি শাড়িতে যে অংশটুকু কোমরে গুঁজে রাখা হয়, ওই অংশটায় অর্থাৎ সাড়ে পাঁচ হাত পর্যন্ত কোনও পাড় বোনা থাকে না। কিন্তু মেশিনে বোনা শাড়ির পুরো অংশ জুড়েই পাড় থাকে।
হাতে বোনা জামদানি ওজনে হালকা হয়ে থাকে এবং পরতেও আরামদায়ক। তবে জামদানি খুব যত্ন করে রাখতে হয়, না হলে বেশিদিন টেকসই হয় না। অন্যদিকে কোনও রকম হাতের ছোঁয়া ছাড়া জামদানির ডিজাইন নকল করা, মেশিনে বোনা শাড়ি কৃত্রিম সুতোয় তৈরি হয় বলে এ শাড়িগুলো হয় ভারি ও খসখসে। তবে এ শাড়িগুলো বছর বছর ধরে পরা যায়।
জামদানির বৈশিষ্ট্য:
জামদানির প্রধান বৈশিষ্ট্য এর জ্যামিতিক নকশা। এ জ্যামিতিক নকশায় ফুটিয়ে তোলা হয় নানা ধরণের ফুল, লতাপাতা, কলকাসহ নানা ডিজাইন। জামদানির ডিজাইন বিভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে। তার মধ্যে পান্না হাজার, তেরছা, পানসি, ময়ূরপঙ্খী, বটপাতা, করলা, জাল, বুটিদার, জলপাড়, দুবলি, ডুরিয়া, বলিহার, কটিহার, কলকাপাড় ইত্যাদি বেশি প্রচলিত।
জামদানিতে ছোট ছোট ফুল বা লতাপাতার ডিজাইন যদি তেরছা ভাবে সারিবদ্ধ থাকে, তা হলে তাকে তেরছা জামদানি বলে। ফুল, লতার বুটি জাল বুননের মতো সমস্ত জমিনে থাকলে তাকে জালার নকশা বলা হয়। পুরো জমিনে সারিবদ্ধ ফুলকাটা জামদানি ফুলওয়ার নামে পরিচিত। ডুরিয়া জামদানি ডোরাকাটা নকশায় সাজানো থাকে। তেমনি পাড়ে কলকির নকশা থাকলে তা হবে কলকাপাড়।
- বাংলাদেশে বেড়েছে দারিদ্রের হার
- জীবন রক্ষাকারী সব ওষুধের দাম কোম্পানি নয়, সরকার নির্ধারণ করবে
- দেশ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত: প্রধান উপদেষ্টা
- অনন্য উচ্চতায় সাকিব
- মোদিকে ডুবিয়ে দিতে যাচ্ছেন সুপারস্টার থালাপতি বিজয়!
- শোকজের জবাব দিতে ফজলুর রহমানকে আরও সময় দিলো বিএনপি
- নিউইয়র্কে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে হেনস্তার চেষ্টা,ডিম নিক্ষেপ
- রক্তের গ্রুপ: কে কাকে রক্ত দিতে পারবে?
- কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি গ্রেপ্তার
- খালি পেটে রসুন খেলে শরীরে কী ঘটে?
- বাংলাদেশে যারাই ক্ষমতায় আসবে তারাই চুরি করবে: শবনম ফারিয়া
- বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের সূচি ঘোষণা আফগানিস্তানের
- নির্বাচন কমিশনে কী হয়েছিল তা নিয়ে ভিন্ন দাবি রুমিন ও এনসিপির
- বাংলাদেশ চায় একাত্তরে গণহত্যার জন্য মাফ চাক পাকিস্তান
- আবু সাঈদ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা ভারতে গ্রেফতার
- ফজলুর রহমানকে শোকজ, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দেয়ার নির্দেশ
- আগামী জাতীয় নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ হবে: ডিএমপি কমিশনার
- পটেটো চিপস খেয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনছেন না তো!
- বন্ধ হচ্ছে ৯ আর্থিক প্রতিষ্ঠান
- শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা
- নিখোঁজ সাংবাদিক বিভুরঞ্জনের মরদেহ মিললো মেঘনায়
- এবার ‘প্রিন্স’ রূপে আসছেন শাকিব খান, ঝড় তুললো পোস্টার
- এশিয়া কাপ ও নেদারল্যান্ডস সিরিজের জন্য বাংলাদেশ দল ঘোষণা
- ইমিগ্রেশনের সময় যে ৭ কথা বললেই মহাবিপদ
- জামিন পেলেন ইমরান খান
- ডেঙ্গুতে একদিনে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩১১
- সাগর-রুনির ছেলে মেঘের হাতে প্লটের দলিল তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
- দেশে একাত্তরকে ভুলিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে: মির্জা ফখরুল
- যিশুকে চুমু ছুড়ে দিলেন শুভশ্রী, বললেন ‘তোমায় ভালোবাসি’
- এশিয়া কাপ: ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে জল্পনার অবসান
- আমির খানের ‘অবৈধ সন্তানের’ মা ও প্রেমিকা দাবি করা কে এই জেসিকা?
- এবার শাকিব খানের নায়িকা হচ্ছেন তানজিন তিশা!
- শিশুদের হাঁপানি সম্পর্কে যা যা জানা জরুরি
- চলতি সপ্তাহে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে: ইসি সচিব
- ভিমরুলের কামড় কতটা ভয়ংকর, কামড়ালে দ্রুত কী করবেন?
- ইমিগ্রেশনের সময় যে ৭ কথা বললেই মহাবিপদ
- বন্ধ হচ্ছে ৯ আর্থিক প্রতিষ্ঠান
- লিভার পরিষ্কার করার জন্য হারবাল পণ্য কি আসলেই কাজ করে?
- শেখ হাসিনা ও কামালসহ ৯৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
- জামিন পেলেন ইমরান খান
- আগামী জাতীয় নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ হবে: ডিএমপি কমিশনার
- জাবেদ পাটোয়ারীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
- ৫১ লাখ টাকার স্টেডিয়াম ১৪ কোটিতে করার অনুমোদন, সচিবের ব্যাখ্যা
- জেলেনস্কিকে যে দুই কঠিন শর্ত দিয়েছেন পুতিন, জানালেন ট্রাম্প
- ভারতে আওয়ামী লীগের অফিস দ্রুত বন্ধের আহ্বান ঢাকার
- নিখোঁজ সাংবাদিক বিভুরঞ্জনের মরদেহ মিললো মেঘনায়
- খালি পেটে রসুন খেলে শরীরে কী ঘটে?
- বাংলাদেশবিরোধী কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত নয় ভারত
- এশিয়া কাপ: ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে জল্পনার অবসান
- পটেটো চিপস খেয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনছেন না তো!