ঢাকা, ০৯ মে শুক্রবার, ২০২৫ || ২৫ বৈশাখ ১৪৩২
good-food
১৯১

ইউরোপের কোনো ক্লাবে না খেলার যেসব কারণ বলে গেছেন পেলে

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০২:২৭ ৩১ ডিসেম্বর ২০২২  

পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন ব্রাজিল কিংবদন্তি পেলে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তবে ফুটবলে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন তিনি।


জাতীয় দলের হয়ে তিনবার বিশ্বকাপ জেতেন পেলে। বর্ণিল ক্যারিয়ারে ১৩৬৩ ম্যাচে ১২৮১ গোল করেন তিনি। তবে দীর্ঘ ২২ বছরের খেলোয়াড়ি জীবনে মাত্র দুটি ক্লাবের হয়ে খেলেন ফুটবলের রাজা। একটি স্বদেশী সান্তোস, আরেকটি ভিনদেশি নিউইয়র্ক কসমস।


তবে ইউরোপের কোনো ক্লাবের হয়ে কখনও মাঠ মাতাননি পেলে। যদিও ইউরোপিয়ান একাধিক শীর্ষ ক্লাব থেকে অসংখ্যবার ডাক পান তিনি। তাকে দলে ভেড়াতে মরিয়া ছিল ইতালি ও স্পেনের ক্লাব। তার সঙ্গে চুক্তির প্রায় কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল ইন্টার মিলান।

 

২০০২ বিশ্বকাপ জয়ী ব্রাজিল দলের তারকা রোনাল্ডো নাজারিও এ তথ্য দেন। এক সময় ক্লাবটির হয়ে খেলেন তিনিও। ক্রীড়াভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গেজেটা ডেলো স্পোর্টে একটি চিঠি লিখেছেন রোনাল্ডো। সেখানে তিনি স্মৃতিচারণ করেন, পেলে যখন সান্তোসের হয়ে খেলতেন, তখন তাকে ডেরায় ভেড়াতে জোর প্রচেষ্টা চালায় ইন্টার। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি ব্রাজিল ছাড়তে চাননি। উনি নিজেই এ কথা আমাকে বলেছেন।

 

২০১৮ সালে রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে জুভেন্টাসে পাড়ি জমান ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এরপর সোশ্যাল মিডিয়া ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে পেলে ফাঁস করেন, তুরিনের বুড়িদের হয়ে খেলতে পারতেন তিনিও।  পেলে লেখেন, জুভদের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলতে যাচ্ছো রোনালদো। তোমার জন্য শুভকামনা। এতে ভিন্ন কিছু স্বাদ পাবে। আমিও তাদের হয়ে লড়াইয়ে অংশ নিতে পারতাম।

 

তিনি আরও লেখেন, ১৯৬১ সালে এক সন্ধ্যায় রাতের খাবারের সময় ফিয়াটের মালিক আমাকে সই করার জন্য সান্তোস এফসির প্রেসিডেন্টকে এক মিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। যদিও আমি এক ঘরানার ফুটবল খেলি।

 

২০১৬ সালে পেলে জানান- নাপোলি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও রিয়াল মাদ্রিদের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। ইউএসএ টুডেকে সর্বকালের সেরা ফুটবলার বলেন, অসংখ্যবার এসব ক্লাবের সঙ্গে চুক্তির চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রায় পৌঁছে গিয়েছিলাম। তারা আমাকে ব্রাজিল থেকে বের করতে চেয়েছে। কিন্তু শেষপর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে।

 

পেলে বলেন, ইউরোপিয়ান ক্লাবে খেলার জন্য আমার কোনো অনুশোচনা নেই। কারণ, সেসময় সান্তোস ছিল ফুটবলের পরাশক্তি। এতেই আমি খুশি ছিলাম।

 

অবশেষে ১৯৭৫ সালে সান্তোস ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান পেলে। ২ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলারে তাকে কিনে নেয় নিউইয়র্ক কসমস। সেসময় তার বয়স ছিল ৩৪ বছর। এতে সেসময় বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় বনে যান তিনি।

 

তবে ৮ মাস ক্লাবটির হয়ে খেলতে পারেননি পেলে। পরে মার্কিন দলের হয়ে ৩৭ গোল করেন তিনি। নিউইয়র্ক কসমসের হয়ে প্রিয় ক্লাব সান্তোসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের ইতি টানেন ফুটবল ‘ঈশ্বর’।

খেলাধুলা বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর