ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪ || ১৫ চৈত্র ১৪৩০
good-food
৪৫৭

যেসব ফল নিয়ন্ত্রণে রাখে ডায়াবেটিস

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:৪৭ ১৩ নভেম্বর ২০২০  

ডায়াবেটিস খুবই সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি সাধারণত দুই ধরনের,  টাইপ-১ ও টাইপ- ২। টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে শরীরে ইনসুলিন উৎপন্ন হয় না। অন্যদিকে, টাইপ-২ ডায়াবেটিসে সংক্রমিত ব্যক্তির দেহে পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি হয় না। হলেও সঠিকভাবে কাজ করে না। কিন্তু লক্ষণ বুঝতে পারলে ঘরোয়া উপায়ে এর প্রতিকার সম্ভব।

 

ডায়াবেটিসের সাধারণ কিছু লক্ষণ হলো ক্লান্তি, ওজন হ্রাস, প্রচুর পিপাসা, ঘন ঘন প্রসাব, কাটা স্থান বা ক্ষত না শুকানো, চোখে ঝাপসা দেখা। এ রোগ পুরোপুরি নিরাময় সম্ভব নয়। তবে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনযাপন করা যায়। 

 

কিছু প্রাকৃতিক উপাদানের মাধ্যমে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তবে বলা বাহুল্য সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এক ঝলকে দেখে নিন কী খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

 

কিউই
প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, ফাইবার ও পটাসিয়াম রয়েছে এই ফলে। যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাদের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী ও উপকারী এটি। সারাবছরই কমবেশি পাওয়া যায় কিউই। গবেষণা বলছে, উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা কমাতেও দারুণ কাজ দেয় ফলটি।

 

আপেল
এই ফল অত্যন্ত পুষ্টিকর। হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এছাড়া ভিটামিন সি রয়েছে আপেলে। পাশাপাশি এটি লো ক্যালোরি সম্পন্ন। অল্প পরিমাণ সোডিয়াম থাকলেও কোনোরকম ফ্যাট বা কোলেস্টেরল নেই। তাই ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে এবং সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে খাদ্যতালিকায় যোগ করতে পারেন এই ফল।


কমলালেবু
এই জাতীয় ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য লেবু খুবই উপকারী। এগুলো খেলে ব্লাড সুগার বাড়ার তেমন কোনও সম্ভাবনা থাকে না। এর হাই ফাইবার কনটেন্ট সুগারের পাশাপাশি কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

 

নাশপাতি
নিশ্চিন্তে এই ফল খাদ্যতালিকায় রাখা যায়। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন কে। স্বভাবতই এটি ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। নাশপাতি লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স সম্পন্ন। এই ফল খেলে দ্রুত ব্লাড সুগার বেড়ে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে এটি গোটা ও কাঁচা খেতে হবে। জুস বের করে বা অন্য কিছুর সঙ্গে মিশিয়ে না খেলেই ভালো হয়।

 

বেরি
আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন জামকে ডায়াবেটিস রোগীদের খাবারের তালিকায় অপরিহার্য করে দিয়েছেন। বেশ মিষ্টি, সুস্বাদু ও পুষ্টিকর এই ফলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার থাকে। এগুলো ব্লাড সুগারের পাশাপাশি ইনসুলিনের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাই এই শীতে খাদ্যতালিকায় এটি রাখাই যায়।