ঢাকা, ১৩ অক্টোবর সোমবার, ২০২৫ || ২৭ আশ্বিন ১৪৩২
good-food
১১৬৫

রাখাইনের বর্বরতা প্রকাশ করায় রয়টার্সের দুই সাংবাদিকের সাজা বহাল

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৬:৪০ ১১ জানুয়ারি ২০১৯  

সংগৃহীত

সংগৃহীত

রাষ্ট্রের গোপনীয়তা বজায় রাখা আইন ভঙ্গের দায়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের দণ্ডিত দুই সাংবাদিকের আপিল খারিজ করেছে মিয়ানমারের উচ্চ আদালত।

ফলে তাদের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতের রায় থাকলে। নিম্ন আদালত তাদের সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছিলো। খবর রয়টার্সের

শুক্রবার মিয়ানমারের উচ্চ আদালতে এ দুই সাংবাদিকের আপিল আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক বলেন, আসামিরা নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট তথ্য উপস্থাপন করতে পারেননি তাই তাদের আপিল খারিজ করা হচ্ছে।

এদিকে আসামিদের ফাঁদে ফেলে গ্রেফতার করার যে অভিযোগ আছে সে বিষয়েও আদালত নিশ্চিত হতে পারেনি।

উল্লেখ্য, রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের দায়ে গত বছরের সেপ্টেম্বরে সাংবাদিক ওয়া লোন (৩২) ও কিয়াও সোয়ে’কে (২৮) সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল মিয়ানমারের নিম্ন আদালত। 

২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর দুই পুলিশ কর্মকর্তা ওই দুই সাংবাদিককে নৈশভোজে আমন্ত্রণ করে তাদের হাতে কিছু কাগজপত্র তুলে দেওয়া হয়। রেস্তোরাঁ থেকে বের হওয়ার সময় তাদের পুলিশ গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহীতার অভিযোগ গঠন করে পুলিশ।

পুলিশের বলছে, বিদেশি গণমাধ্যমে প্রচারের জন্য এসব তথ্য অবৈধভাবে সংগ্রহ করা হয়েছিল।

সাংবাদিকদের আইনজীবী জানিয়েছে, পুলিশই তাদের ফাঁসিয়েছে। কারণ, রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা গণহত্যার বিষয়টি প্রকাশ করায় চেষ্টা চালিয়েছিল।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের গণহত্যার অনুসন্ধান করেছিলেন রয়টার্সের দুই সাংবাদিক। পরে তাদের আটক করে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়।

অন্যদিকে সাংবাদিকদের পক্ষ নিয়ে রয়টার্স দাবি করে, রাখাইনে দশ রোহিঙ্গাকে হত্যার বিষয়টি উদ্ঘাটন করেন এই তারা। সে জন্য  দুই সাংবাদিকের তৎপরতা জনস্বার্থ হিসেবেই বিবেচিত হওয়ার কথা।

রয়টার্সের প্রধান সম্পাদক স্টিফেন জে অ্যাডলার বলেন, আমরা অনুসন্ধানী রিপোর্টটি প্রকাশ করেছিলাম, কারণ, এটি নিয়ে বিশ্বব্যাপী আগ্রহ ছিল।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে যা ছিল: উত্তর রাখাইনের ইনদিন গ্রামে সেনাবাহিনী ও কিছু গ্রামবাসী মিলে সারিবদ্ধভাবে একদল রোহিঙ্গাকে বসিয়ে গুলি করে হত্যা করেছিল। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর। যার তথ্য-উপাত্ত ওই দুই সাংবাদিকই সংগ্রহ করেছিলেন। রয়টার্স দাবি করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞের এটিই প্রথম কোনো প্রমাণ।

বিশ্ব বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর