ঢাকা, ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১২ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
২৫৯

শিশুদের স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে অভিভাবকের করণীয়

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৭:০৩ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২  

শিশুদের খাদ্যাভ্যাস কীভাবে গড়ে উঠছে, সে বিষয়ে আমাদের চিন্তা ততটা নেই। চিপস ও জাংক ফুডের মতো অস্বাস্থ্যকর সব খাবার জন্ম দিচ্ছে ভবিষ্যতের নানা রোগ ও ভোগান্তির। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও স্বাস্থ্যঝুঁকি: বাইরের খোলা খাবার, পোড়া তেলে ভাজা খাবার, চিপস, ফ্রাইস, ইনস্ট্যান্ট নুডলস, টমেটো ক্যাচাপ, কোল্ড ড্রিংকস প্রভৃতি খাবার মুখরোচক হলেও পুষ্টিগুণ প্রায় শূন্যের কোঠায়।

 

এতে আছে অতিরিক্ত লবণ ও মসলা, যা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। শিশুরা ছোটবেলা থেকেই এসব খাবারে অভ্যস্ত হয়ে গেলে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিকভাবে তৈরি হয় না। ভিটামিন, মিনারেলসসহ বিভিন্ন খাদ্যগুণের ঘাটতি দেখা দেয়। ফলে অল্পতেই ডায়রিয়া ও রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও ছত্রাকজনিত অসুখ শরীরে বাসা বাঁধে। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের জন্য শিশুর বয়স বাড়তে বাড়তেই শরীরে বাসা বাঁধে উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিসসহ নানারকম অসংক্রামক ব্যাধি।

 

রুটিন অনুযায়ী খাদ্যগ্রহণ: ছোটবেলা থেকেই শিশুদের নির্দিষ্ট সময়ে খাবার গ্রহণে উৎসাহ দেবেন। পর্যাপ্ত পানি ও সুষম খাবার গ্রহণ: সন্তানকে এমন খাবার খাওয়াবেন, যেখানে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিনস, মিনারেলস প্রভৃতি সব ধরনের উপাদান থাকে। কার্বোহাইড্রেট শরীরে শক্তি জোগায়, প্রোটিন ও ফ্যাট শরীর গঠনে সহায়তা করে।

 

ভিটামিনস ও মিনারেলস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এভাবে প্রত্যেক উপাদানেরই নিজস্ব কিছু কাজ আছে। তাই শিশুদের খাদ্যাভাসে সুষম খাবার রাখা জরুরি। অবশ্যই শিশুদের পর্যাপ্ত পানি খাওয়ার অভ্যাস করাতে হবে ছোটবেলা থেকেই।

 

খাদ্য গ্রহণের সময় অন্য কাজ না করা: অনেকেই বাচ্চাদের টিভি, মোবাইল গেমস, কম্পিউটার প্রভৃতিতে ব্যস্ত রেখে খাবার খাওয়াতে চান। ছোটবেলা থেকেই এই অভ্যাসটা কোনোভাবেই তৈরি হতে দেবেন না। এতে খাবারে বাচ্চাদের অনীহা চলে আসে, খাবারের স্বাদ বুঝতে পারে না, সর্বোপরি সুস্থ খাদ্যাভ্যাস তৈরি হয় না।

 

বাইরের খাবার, বা অতিরিক্ত খাবার না খাওয়ানো: শিশুদের বাসার তৈরি খাবারে অভ্যস্ত করার চেষ্টা করবেন এবং যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই দেবেন। অতিরিক্ত খাবার গ্রহণের জন্য জোর করবেন না। চেষ্টা করবেন খাদ্যতালিকায় পুষ্টিগুণসম্পন্ন বিভিন্ন খাবার রাখতে। একই খাবার বেশি দিন খেতে কারওই ভালো লাগে না, তখন শিশুদের মধ্যে খাদ্যগ্রহণে অনাগ্রহ দেখা দেয়।