ঢাকা, ১৯ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৩৭৫

স্তন ক্যানসার নিয়ে যত ভুল ধারণা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:১৪ ১৬ অক্টোবর ২০২০  

বর্তমানে একটা ট্রেন্ড খুব চোখে পড়ে। সেটা হলো কোনো রোগ হোক বা না হোক, সঙ্গে সঙ্গে নেট ঘেঁটে গবেষণা শুরু করে দেন রোগী এবং তার পরিবারের সদস্যরা। এতে লাভের চেয়ে বরং ক্ষতিই বেশি হয়। কারণ, ইন্টারনেটে সবসময় সঠিক তথ্য থাকে না। 

 

এখন বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন অসংখ্য নারী স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন। এক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। স্বভাবতই এ নিয়ে নানা ভুল ধারণার বশবর্তী আমরা। মারণঘাতি এ রোগ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে হলে আগে জানতে হবে কোনটা সত্যি আর কোনটা মিথ্যা।

 

১. স্তনে লাম্প দেখা দিয়েছে মানেই সেটা ক্যানসার, তা নয়। এর প্রথম স্টেজে কোনও লাম্প হয় না। অনেক ক্ষেত্রে রোগী কোনও লাম্প অনুভব করতে পারেন না। 

 

২. অনেকে ভাবেন পরিবারে যদি কারও কোনও দিন স্তন ক্যানসার না হয়, তাহলে তিনি এ মারণ রোগের করাল গ্রাস থেকে মুক্ত। কিন্তু বংশে কারো স্তন ক্যানসারের ইতিহাস নেই-এরকম পরিবারের নারীরাও এতে আক্রান্ত হন।

 

৩. যারা ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট করেছেন, তাদের এ মারাত্মক রোগের ঝুঁকি বেশি- এ কথা একেবারেই ঠিক নয়। তবে যদি ইমপ্ল্যান্ট করা থাকে তাহলে ম্যামোগ্রামের ফল পড়তে অসুবিধা হয়।

 

৪. কারো অন্তর্বাস পরলে ক্যানসার হয়- এখন পর্যন্ত এ তথ্যের কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা বা প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

 

৫. অ্যান্টি পার্সপিরেন্ট, চুল রঙ করার ডাই কিংবা সেলফোন ব্যবহার করলে এ রোগ হয়। মূলত অনেকেই এগুলো ব্যবহার করেন। আর সেগুলো ব্যবহার করলেই যে ক্যানসার হবে- এরকম কোনও যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি।

 

৬. অল্প বয়সী নারীদের স্তন ক্যানসার হয় না-এ তথ্যের কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। যদিও এ ভয়ংকর রোগে আক্রান্ত বেশিরভাগ নারীর বয়স ৪০-এর উপরে। তবে এর মানে এ নয় যে, তার চেয়ে কম বয়সে স্তন ক্যানসার হতে পারে না।

 

৭. পুরুষদের স্তন ক্যানসার হয় না। শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এটাই সত্যি। সিডিসি বলছে, প্রতিবছর আমেরিকায় ২০০০ পুরুষ এ প্রাণঘাতি রোগে আক্রান্ত হন। তাদেরও স্তন গ্রন্থি থাকে। তাই তারাও বিপদের বাইরে নন।

 

৮. যাদের স্তন আকারে ছোট, তাদের এ রোগ হয় না। সত্যি বলতে কী, আকার বা আকৃতির সঙ্গে স্তন ক্যানসার হওয়া বা না হওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। এটা যেকোনও আকারের স্তনেই হতে পারে।