ঢাকা, ২৭ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪ || ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৬২৯

স্মৃতিকাতর হয়ে কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:১৩ ৩০ আগস্ট ২০১৯  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায় ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্মৃতিকাতর হয়ে কেঁদেছেন।

শুক্রবার বিকেলে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ (উত্তর ও দক্ষিণ) আয়োজিত আলোচনা সভায় কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি।

এসময় তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে কাঁদেন এবং চোখের জল মুছেন। আবেগাপ্লুত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত অনেককেও কাঁদতে দেখা যায় ওই সময়।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে তো বটেই, সারাবিশ্বে ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ঘৃণিত, নিন্দিত। রাজনৈতিক ইতিহাসে নিষ্ঠুর, নির্মম ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের উদাহরণ। ১৫ আগস্টে শুধু একটা পরিবারকে হত্যা নয়, এর মধ্য দিয়ে আমাদের দেশের ইতিহাসকে একেবারে মুছে দেওয়ার অপচেষ্টা করা হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যেন কারবালার ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলো ৩২ নম্বরে। খুনিরা এমন একটি মানুষকে হত্যা করলো, যে মানুষ তাদের দেশ দিলো, স্বাধীনতা দিলো।’
তিনি বলেন, ‘পঁচাত্তরের পর যারাই ক্ষমতায় এসেছে, তারাই ১৫ আগস্টের খুনিদের মদত দিয়েছে। যেভাবে জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে খুনিদের দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিলেন, সেভাবে খালেদা জিয়াও পুনর্বাসন করেছেন। এরশাদও খুনিদের মদত দিয়েছেন পুরস্কৃত করেছেন।’

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সুবেহ সাদিকের সময় যখন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে নিজ বাসভবনে সপরিবারে ঘাতকের বুলেট বৃষ্টিতে নির্মমভাবে শহীদ হন স্বাধীনতার স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তখন দেশের বাইরে থাকায় ভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে শেখ হাসিনা এবং আরেক কন্যা শেখ রেহানা।

বাংলাদেশ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর