ঢাকা, ২০ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪ || ৭ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৩৮৯

১১ তারিখ খুলবে অফিস-মার্কেট-পরিবহন

কঠোর লকডাউন বাড়লো ১০আগস্ট পর্যন্ত

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৫:১৯ ৩ আগস্ট ২০২১  

সারাদেশে নিয়ন্ত্রণহীন আকারে ছড়িয়ে পড়া কোভিড ১৯ বা করোনা মহামারি রোধে চলমান কঠোর লকডাউন বাড়ানো হলো আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত। আজ মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত জানালো সরকার। 


মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা বসে। পরে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

 

তিনি বলেন, ১১ আগস্টের পর ভ্যাকসিন ছাড়া কেউ মুভমেন্ট করলে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। অবশ্যই ভ্যাকসিন নিতে হবে। দেশজুড়ে ১৪ হাজার কেন্দ্রে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। আইন না করলেও অধ্যাদেশ জারি করে হলেও শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হবে।

 

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বলেন, আগামী ১ সপ্তাহে ১ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ওয়ার্ড-ইউনিয়নে ৫ থেকে ৭টা কেন্দ্র করে ১ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। মানুষকে ভ্যাকসিন নিতে দৌড়াতে হবে না, আমাদের লোকজনই তাদের কাছে পৌঁছে যাবে।

 

তিনি জানান, ১৪ হাজার কেন্দ্রে একযোগে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। সেখানে আমরা বয়স্কদের অগ্রাধিকার দেব। কারণ বৃদ্ধদের মৃতুঝুঁকি বেশি বলে মনে হয়েছে। একইসঙ্গে শ্রমিক, বাসের হেলপারসহ সবাইকে ভ্যাকসিন নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।

 

মোজাম্মেল হক বলেন, ভ্যাকসিন ছাড়া কেউ কর্মস্থলে আসতে পারবেন না। ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট থাকতে হবে। ভ্যাকসিন দিলেই ওয়েবসাইটে চলে যাবে। সেগুলো চেক করা হবে। ভ্যাকসিন দেওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে ওয়েবসাইটে দিয়ে দেব। ভ্যাকসিন নিয়েছে কিনা যাচাই করতে পারব। আর এ ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য আগামী ৭, ৮, ৯ আগস্ট এ তিন দিন সুযোগ রাখলাম। যাতে তারা ভ্যাকসিন নিয়ে ব্যবসা কেন্দ্র খুলতে পারে।

 

লকডাউন বাড়ানোর বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, কঠোর লকডাউনের মেয়াদ আমরা আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়াচ্ছি। কারণ ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য আমরা এ ১০ তারিখ পর্যন্ত সুযোগ দিচ্ছি। আর ১১ তারিখ থেকে যাতে সব কিছু খুলতে পারে আমরা সেই সুযোগ রেখেছি।

 

তিনি বলেন, ১১ আগস্টের পর ভ্যাকসিন ছাড়া কেউ চলাফেরা করলে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। সবাইকে অবশ্যই ভ্যাকসিন নিতে হবে। ১১ আগস্ট থেকে দোকানপাট খুলে দেওয়া হবে। ওইদিন থেকে সড়কে সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চলাচল করবে। খুলবে সরকারি-বেসরকারি অফিসও।

 

সভায় ১২ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, ১৬ জন সচিব, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, আইইডিসিআর পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টরা অংশ নেন।

 

করোনার সংক্রমণ কমাতে সব ধরনের অফিস বন্ধ রেখে গত ১ থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর করে সরকার। এরপর কুরবানির ঈদের আগে গত ১৫ জুলাই থেকে আট দিনের জন্য সব বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়। 

 

গত ২৩ জুলাই থেকে ফের ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। শেষ ধাপের বিধিনিষেধের মধ্যে সব ধরনের শিল্প-কলকারখানা বন্ধ রাখা হলেও রোববার থেকে রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানাগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। 

 

হঠাৎ করে শিল্পকারখানা খোলার ঘোষণার পর গণপরিবহণ বন্ধের মধ্যেই চরম ভোগান্তি নিয়ে শনিবার সকাল থেকে কর্মস্থলের উদ্দেশে রওয়ানা দেন পোশাক শ্রমিকরা। পরে শ্রমিকদের যাতায়াতের সুবিধায় কিছু সময়ের জন্য লঞ্চ ও বাস চলাচলের অনুমতি দেয় সরকার। 

 

বিধিনিষেধের মধ্যে শিল্পকারখানা খুলে দেওয়ায় করোনার সংক্রমণ বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। স্বাস্থ্যমন্ত্রীও সোমবার এক অনুষ্ঠানে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা জানান।

বাংলাদেশ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর