ঢাকা, ২৪ এপ্রিল বুধবার, ২০২৪ || ১১ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৩৭৭

বাংলাদেশে লাগামহীনভাবে করোনা ছড়িয়ে পড়তে পারে: ল্যানসেট

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:৫১ ২৯ আগস্ট ২০২০  

বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বাড়ছে। তবে এর চরম পরিস্থিতি এদেশে এখনো আসেনি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিষয়ক আন্তর্জাতিক গবেষণা সাময়িকী ‘দ্য ল্যানসেট’।
এর প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়, একদিকে বর্ষা, অন্যদিকে ডেঙ্গু; এর ভেতর আবার প্রাণঘাতী ভাইরাস। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে লাগামহীনভাবে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে।
এদেশের কয়েকজন বিশেষজ্ঞের কথা উল্লেখ করে অস্ট্রেলিয়ার পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখিকা সোফি কাজিন্স নিজের প্রতিবেদনে বলেছেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে বাজে অবস্থা এখনো আসেনি।
এ প্রতিবেদনে করোনা পরীক্ষার জন্য সরকার নির্ধারিত ফি’র সমালোচনাও করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ফি নির্ধারণের পর পরীক্ষার হার কমে প্রতিদিন ১ হাজার মানুষে ০.৮ জনে দাঁড়িয়েছে। আগস্টে প্রতি ১ হাজার মানুষে ০.৬ হারে টেস্ট হয়েছে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এমিনেন্সের প্রধান শামীম তালুকদার বলেন, এ মহামারি বাংলাদেশের ‘অনৈতিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে’ উন্মোচিত করেছে।
একদম শুরু থেকে সরকার কোভিড-১৯ পরীক্ষা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, শুরুতে বেসরকারি খাতকে টেস্ট করতে দেয়া হয়নি। এখন আবার ফি নেয়া হচ্ছে। ফলে দরিদ্ররা টেস্ট থেকে বাদ পড়ছেন।
তালুকদার ঢাকার কয়েকটি কবরস্থান ঘুরে সেখানকার কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। কবরস্থান পরিচালনাকারীরা তাকে বলেছেন, সরকারি হিসাবের চেয়ে দেশে ৪ গুণ বেশি মৃত্যু হচ্ছে। অনেকে উপসর্গ নিয়ে মারা যাচ্ছেন। কিন্তু করোনা পরীক্ষা হয়নি।
আইইডিসিআর’র সাবেক পরিচালক মাহমুদুর রহমানও টেস্ট ফি নির্ধারণের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, মানুষের কাছ থেকে টাকা নেয়া সত্যি সমস্যা সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে গরিবদের জন্য পরীক্ষা করানো এখন কষ্টকর। মহামারির সময় মানুষের কাজ নেই, টাকা নেই। এমন অবস্থায় সরকারের টাকা নেয়া উচিত হচ্ছে না।
ঢাকার আরেকজন চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের দেশে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১৫ হাজার পরীক্ষা হচ্ছে। এটি আসলে কিছুই না। 
ওই চিকিৎসকের শঙ্কা, করোনা আরও অনেক দিন থাকবে। আমি ভয় পাচ্ছি শীত আসলে কী হবে। মানুষও ভয় পাচ্ছে।
শামীম তালুকদার বলেন, সরকারের নজর এখন অর্থনীতির দিকে। কিন্তু কোভিড-১৯ গ্রাম থেকে গ্রামে ছড়িয়ে পড়বে। মারা যাবে আরও অনেক মানুষ।
অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধক ব্যবস্থার ওপর রিপোর্ট করে ২০১৯ সালে মেডিক্যাল জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন থেকে পুরস্কার জেতেন সোফি। তার সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হননি।

বাংলাদেশ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর