ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪ || ১৪ চৈত্র ১৪৩০
good-food
৩৪৬

স্ত্রীর পাশে চিরনিদ্রায় ব্যারিস্টার রফিক-উল হক

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:১৬ ২৪ অক্টোবর ২০২০  

স্ত্রী ড. ফরিদা হকের পাশে বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বরেণ্য আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। সাবেক এই এটর্নি জেনারেল শনিবার সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর আদ-দ্বীন হাসপাতালে মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। 

 

পরে ৩ দফা জানাজা শেষে এদিন দুপুর ৩টায় রফিক-উল হকের দাফন সম্পন্ন হয়। তিনি গেল ১৫ অক্টোবর থেকে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। প্রথমদিকে তাকে কেবিনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়। কিন্তু অবস্থা জটিল হলে হাই ডিপেনডেন্সি কেয়ার ইউনিটে (এইচডিইউ) ভর্তি করা হয়। ২০ অক্টোবর তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হলে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়।

 

রফিক-উল হকের প্রথম জানাজা হয় সকাল সাড়ে ১০টায় মগবাজারের আদ-দ্বীন হাসপাতালে। এরপর কিছু সময় পল্টনের বাসায় তার মরদেহ রাখা হয়। পরে নেয়া হয় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে। বাদ জোহর সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে মরদেহ নেয়া হয় মরহুমের দীর্ঘদিনের কর্মস্থল সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে। সেখানে তৃতীয় নামাজে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয় ।

 

ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের জন্ম ১৯৩৫ সালের ২ নভেম্বর কলকাতার সুবর্ণপুর গ্রামে। ১৯৫৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, ১৯৫৭ সালে দর্শন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ১৯৫৮ সালে এলএলবি পাস করেন। ১৯৬২ সালে যুক্তরাজ্য থেকে বার এট ল সম্পন্ন করেন। ১৯৬৫ সালে সুপ্রিম কোর্টে এবং ১৯৭৩ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে আইন পেশা শুরু করেন। বর্ণাঢ্য জীবনে এ পেশায় দীর্ঘ প্রায় ৬০ বছর অতিবাহিত করেন।

 

১৯৯০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা এটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন রফিক-উল হক। এ পদে দায়িত্ব পালনকালে কোনো সম্মানী নেননি তিনি। পেশাগত জীবনে কখনো কোনো রাজনৈতিক দলে সম্পৃক্ত হননি।

 

বিশিষ্ট এই আইনজীবী জীবনের উপার্জিত অর্থের প্রায় সবই ব্যয় করেছেন মানুষের কল্যাণ ও সমাজসেবায়। দলমত নির্বিশেষে সবাই তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন। আইন অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।